বেরোবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সঙ্গে বহিরাগত (স্থানীয়) ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ বহিরাগতদের হামলা-হয়রানী বন্ধ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে আল্টিমেটাম দেন নেতারা। এ সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল আজম ফাইনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট ও শিক্ষার্থীদের জান-মালের ক্ষতির অভিযোগ তোলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া ও সেক্রেটারি নোবেল শেখ।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত ২১শে আগস্ট আবাসিক হলগুলোতে গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের মামলায় গ্রেফতারের ২২ দিন পর জামিনে বেরিয়ে এসে আজ রাত আটটায় বহিরাগত দল-বল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে হামলা চালায় বহিরাগতরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলে তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় দুপক্ষের অনেকেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে তাজহাট থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন (ছবি : দৈনিক অধিকার)

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি তুষার কিবরিয়ার নেতৃত্বে হল থেকে প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এসে বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে হামলার অভিযোগ তুলে আজ রাতের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা না হলে আগামীকাল থেকে সকল ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের আল্টিমেটাম দেয়।

এ বিষয়ে তাজহাট থানার ওসি শেখ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হলে তাজহাট থানা পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

ছাত্রলীগের আল্টিমেটামের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দেখবে। এ বিষয়ে কোন সহযোগিতা চাইলে তাজহাট থানা পুলিশ প্রস্তুত আছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর আতিউর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে হঠাৎ করেই একটি ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হতে যাচ্ছিল। এর আগে একটি গ্রুপ দুই হলের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করার কারণে সেখানে মামলা দায়ের করা হয়েছিল কিছু কিছু ব্যক্তির নামে। তারা হঠাৎ করে আজকে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করার জন্য ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি কিছু স্টুডেন্ট তাদের নামে মামলা করেছিল তারা এখানে ছিল। তারা সংঘবদ্ধভাবে তাদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুবই সর্তক অবস্থানে আছে। যেন কোনো ধরনের ভাবমূর্তি বা পরিবেশ নষ্ট না হয়।’

ওডি/এমএ