• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

৭৪ পয়সায় ১ কেজি ধান শুকানো যাচ্ছে

  বাকৃবি প্রতিনিধি

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:০৯
বাকৃবি
ওয়ার্কশপের অতিথিরা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

প্রচলিত পদ্ধতিতে ধানকে চাল এবং চালকে ভাত করে খাবার টেবিলে পৌঁছাতে ১৪ ভাগই অপচয় হয়। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ধান শুকাতে প্রচুর দুর্ভোগও পোহাতে হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য বিএইউ-এসটিআর ড্রায়ার (ধান শুকানো যন্ত্র) উদ্ভাবন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে এ যন্ত্রটিতে মাত্র ৭৪ পয়সায় ১ কেজি ধান শুকানো যাচ্ছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার মেকানাইজেশন অ্যান্ড পোস্ট হারভেস্টে প্রাকটিস ইন বাংলাদেশের’ বার্ষিক কর্মশালায় কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় এসব কথা বলেন।

অ্যাপ্রোপ্রিয়েট স্কেল ম্যাকানাইজেশন ইনোভেশন হাব (আস্মি) বাংলাদেশ, পোস্ট হারভেস্ট লস রিডাকশন ইনোভেশন ল্যাব বাংলাদেশ ফেজ (২) এবং বাকৃবির কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ যৌথভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ওই কর্মশালার আয়োজন করে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘জ্বালানি হিসাবে ডিজেল ব্যবহারে যন্ত্রটিতে মাত্র ৮৭ পয়সায় প্রতি কেজি ধান শুকানো যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ড্রায়ার পরীক্ষামূলক ভাবেও ব্যবহার করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে-এ ড্রায়ারে মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘণ্টায় ৫শ কেজি ধান শুকানো যায়। আর ধান বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতাও থাকছে প্রায় ৯০ ভাগ। তাই এখন যন্ত্রটির ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ প্রয়োজন।’

কর্মশালায় কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নুরুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাকৃবির অ্যামিরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। পরে একটি টেকনিক্যাল সেশনের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বি কে বালা।

এ সময় আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- বাকৃবির কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আওয়াল, বিএডিসির মুখ্য প্রকৌশলী মো. লুৎফুর রহমান।

অ্যামিরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল বলেন, ‘আগে বিদেশ থেকে যন্ত্র আনার ক্ষেত্রে যন্ত্রের গুণগত মান পরীক্ষা করা হত না। কিন্তু আমরা এখন এ বিষয়গুলোর দিকে নজর রাখছি। বর্তমানে দেশের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে যন্ত্র আবিষ্কার করা হচ্ছে। এতে আমাদের কৃষি লাভজনক হয়েছে, কমেছে যন্ত্র আমদানিতে পরনির্ভরশীলতা। আবার দেশে কোনো কৃষি প্রযুক্তি ছড়ানোর আগে তার টেকসই ও স্থায়িত্বের বিষয়টি ও উৎপাদন খরচ কিভাবে কমানো যায় সে বিষয়গুলো মাথায় রাখা অতীব জরুরি। প্রযুক্তিগুলো ব্যাপকভাবে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে সরকারের ভর্তুকি যেন সঠিকভাবে পৌঁছায় সেদিকেও নজর রাখার তাগিদ দেন তিনি।

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড