• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গণবিতে পরীক্ষার খাতা ১০ মিনিট আগে নেওয়ার অভিযোগ

  গণবি প্রতিনিধি

০৪ জুলাই ২০১৯, ১৮:১০
গণবি
সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে (ছবি : দৈনিক অধিকার)

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গণবি) একটি কক্ষে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার খাতা নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগে নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্রিল’১৯ সেশনের ১ম পর্বের সেমিস্টার ফাইনাল চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের ৫১২ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় ওই কক্ষের অনেক শিক্ষার্থী ১০ মিনিট আগে খাতা দিতে আপত্তি জানালেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রভাষক এবং ওই কক্ষে দায়িত্বরত প্রধান পরীক্ষক ফারাহ ইকবাল জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে খাতা নিয়ে নিতে অন্য শিক্ষকদের আদেশ করেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ওই কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছে। এর বিপরীতে ৮জন শিক্ষক দায়িত্বে ছিলেন। ইংরেজি বিভাগের ৮ম সেমিস্টারের প্রশ্নপত্র চার মিনিট পর এবং একই বিভাগের ৭ম সেমিস্টারে প্রশ্নপত্র সাত মিনিট অতিবাহিত হলেও দেওয়া হচ্ছিল না। এ সময় আমরা বারবার প্রশ্নপত্র দিতে বললে ভাষা, যোগাযোগ ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক কায়েস আহমেদ খোজ নিতে শুরু করেন। এর প্রায় ১০/১১মিনিট পর ইংরেজি ৭ম সেমিস্টারের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়।

পরীক্ষার নির্ধারিত সময় শেষ হলে, ইতোপূর্বে নষ্ট হওয়া ১০ মিনিট সময় যাওয়া হলেও আইন বিভাগের প্রভাষক ফারাহ ইকবাল জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের নিকট হতে উত্তরপত্র নিতে অন্যান্য শিক্ষকদের আদেশ করেন। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী ১০মিনিট পরে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে, তাই তাদের অতিরিক্ত ১০মিনিট সময় দিতে হবে দাবি জানালে আইন বিভাগের ওই শিক্ষক অতিরিক্ত সময় দিতে অসম্মতি জানান এবং শিক্ষার্থীদের নিকট হতে উত্তরপত্র নিয়ে নেন।

এ ঘটনায় ইংরেজি বিভাগের কতিপয় শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ মীর মুর্ত্তজা আলীর নিকটে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ জানান, আজকে ১ম পরীক্ষা, শিক্ষক ও কর্মকর্তা কম রয়েছে। এমন কিছু ঘটে থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন বিভাগের শিক্ষক ফারাহ ইকবাল জানান, ১০মিনিট আগে খাতা নেওয়া হয়নি। যে ঘড়িটি ওই কক্ষে দেওয়া হয়েছিল সেটি স্লো ছিল। আমরা আমাদের ঘড়ি দেখে খাতা দিয়েছিলাম। আমাদের কক্ষে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে যে ঘড়িটি দেওয়া হয়েছে, সেটি দেড়িতে দেওয়া হয়েছে। সেটি পরে দেওয়ালে ঘড়ি টানানো হয়েছে। আমরা ওই কক্ষে আট জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলাম। আমরা আমাদের নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে ঘড়ি দেখে প্রশ্নপত্র দিয়েছি এবং পরীক্ষা শেষে পুনরায় আলোচনা করেই উত্তরপত্র নিয়েছি। এছাড়া যেহেতু কক্ষটি অনেক বড় ছিল তাই আমরা শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে অতিরিক্ত দুই মিনিট সময়ও দিয়েছি। তবে কয়েকজন শিক্ষার্থী ‘দেওয়াল ঘড়িতে পাঁচ মিনিট সময় আছে বলে’ চিৎকার করছিল। তখন আমরা তাদের চুপ করিয়ে বলেছি, আমরা আমাদের ঘড়ি দেখে প্রশ্নপত্র দিয়েছি, এখন উত্তরপত্র নেব। আমরা শিক্ষকরা নিশ্চয় শিক্ষার্থীদের তুলনায় সচেতন, শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো। আমরা পারলে আরও দুই মিনিট বেশি করে দেই, আমরা চাই শিক্ষার্থীরা আরও ভালো করে লিখুক।

উল্লেখ্য, এ বছরের ২৫ এপ্রিল গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামার সেশনের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক বৈধ উপাচার্যের দাবিতে প্রায় ৬৮ দিনের আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে ৭০ দিন পরে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরলে পুনরায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিস রুটিন তৈরি করে ২১ কার্যদিবস পর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড