• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জাবির ‘ছাত্র শৃঙ্খলা বিধি’ বাতিল চায় ছাত্র ফ্রন্ট

  জাবি প্রতিনিধি

২০ মে ২০১৯, ১৩:২৫
জাবি
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জাবি শাখা (ছবি : সম্পাদিত)

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের মতামত প্রকাশ ও প্রশাসনের সমালোচনার সীমানা বিমূর্তভাবে নির্ধারণ করে তৈরি করা ছাত্র শৃঙ্খলা বিধিকে দুরভিসন্ধিমূলক, স্বেচ্ছাচারী ও অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে তা বাতিল চেয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

সোমবার (২০ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সুস্মিতা মরিয়ম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাকে আইন নিয়ে রুখতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এই আইন আরও বেশি ভয়ংকর। এটি রাষ্ট্রের বহু আলোচিত ৫৭ ধারারই নামান্তর। এর মধ্য দিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং প্রতিবাদী মনোভাবকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় তার অপকর্মগুলোকে আইনের ফাঁদে ফেলে সবার সামনে প্রকাশ করতে দেবে না। রাষ্ট্র যেমন একভাবে করে সকলের স্বাধীনতাকে চেপে ধরছে, বিশ্ববিদ্যালয়ও ঠিক সেই পথেই হাঁটছে। অবিলম্বিতে এই স্বেচ্ছাচারী ধারার বাতিল চাই।’

প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ হালনাগাদ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সংশোধিত অধ্যাদেশে যুক্ত হওয়া নতুন দুটি ধারা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৬ সালে উচ্চ আদালত এক রায়ের পর্যবেক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা বিধিকে ‘দুর্বল ও সেকেলে’ উল্লেখ করে তা হালনাগাদের পরামর্শ দেয়। শৃঙ্খলা বিধির প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করতে ওই বছরের ১৬ মে তৎকালীন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হোসেনকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়। ওই কমিটির হালনাগাদ করা শৃঙ্খলা বিধি গত ৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাদেশ হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে।

অধ্যাদেশের ৫-এর (ঞ) নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ছাত্র/ছাত্রী অসত্য এবং তথ্য বিকৃত করে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কোনো সংবাদ বা প্রতিবেদন স্থানীয়/জাতীয়/আন্তর্জাতিক প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক সংবাদ মাধ্যমে/সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ/প্রচার করা বা উক্ত কাজে সহযোগিতা করতে পারবে না।’

৫-এর (থ) নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ছাত্র/ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর উদ্দেশে টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ই-মেইল, ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো অশ্লীল বার্তা বা অসৌজন্যমূলক বার্তা প্রেরণ অথবা উত্ত্যক্ত করবে না।’

অধ্যাদেশ মতে, ধারা দুটির ব্যত্যয় ঘটলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের চোখে ‘অসদাচরণ’ বলে গণ্য হবে। এ জন্য লঘু শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা, সতর্কীকরণ এবং গুরু শাস্তি হিসেবে আজীবন বহিষ্কার, বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার, সাময়িক বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে যেকোনো পরিমাণ জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড