জাবিতে মোবাইল চুরির অভিযোগে হল থেকে বিতাড়িত ছাত্রলীগ নেতা 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) একই প্যানেলের রাজনৈতিক ছোট ভাইয়ের মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে হল থেকে বের করে দিয়েছে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম কৌশিক রহমান শিমুল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ও ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড’ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩১২ নম্বর রুমে থাকতেন।

সোমবার (৬ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে।

বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩৩০ নম্বর কক্ষ থেকে ছাত্রলীগ কর্মী ফিরোজ মাহমুদ সরকারের শাওমি নোট ফাইভ ব্রান্ডের একটি মুঠোফোন চুরি হয়। সন্দেহের ভিত্তিতে কৌশিক রহমান শিমুলের কক্ষে খোঁজাখুঁজি করতে যান ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মী। এ সময় নিজের কক্ষ থেকে জোর করে বের হয়ে যান অভিযুক্ত কৌশিক রহমান শিমুল। পরে হলের ওয়াশরুমের কাছে গিয়ে মুঠোফোনটি ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাকে হাতেনাতে ধরেন। এরপর রাত আড়াইটা পর্যন্ত তাকে নিয়ে আলোচনা করেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও প্যানেলের নেতাকর্মীরা। আলোচনা শেষে তাকে হল থেকে বের করে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী ফিরোজ মাহমুদ সরকার বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুম থেকে আমার ফোন হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমিসহ আমার হলের অন্যান্য ছোট ভাইয়েরা আমার ইমিডিয়েট সিনিয়র শিমুলের কাছে থেকে চুরি হওয়া ফোনটি উদ্ধার করি। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এ বিষয়ে সিনিয়র নেতা-কর্মীরা বসে তাকে হল থেকে বিতাড়িত করার সিদ্ধান্ত নেয়।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে কৌশিক রহমান শিমুলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এই বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, ‘যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে এবং যে অভিযোগ তুলছে দুইজনই ছাত্রলীগের রাজনীতি করে। যদি এমন কিছু ঘটে থাকে তবে আমাকে সেটা জানানো উচিত ছিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। আমাকে জানালে বিষয়টা দেখব।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, ‘এমন একটি ঘটনা শুনেছি। আমাকে না জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার কথা শুনেছি। এটা ঠিক হয়নি। আমি বিস্তারিত জেনে সিদ্ধান্ত নেব।’