• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ছাত্রী নির্যাতনের ৩ দিনেও কিছু জানেন না বুটেক্সের প্রক্টর

  নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ মার্চ ২০১৯, ০৮:১৭
বুটেক্স
ছবি : প্রতীকী

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ১ম বর্ষের এক ছাত্রী ও এক ছাত্রকে র‌্যাগিংয়ের ঘটনার তিন দিন পার হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উম্মুল খায়ের ফাতেমা। এ ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ২য় বর্ষের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি। অথচ প্রক্টরিয়াল বডির সহকারী প্রক্টরকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

এ সময় প্রক্টর বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিলে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন এবং অপরাধের ধরন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। এছাড়া, তিনি আরও বলেন, যে কোনো ধরনের হয়রানি কিংবা নির্যাতনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য আমাদের একটি শক্তিশালী অভিযোগ কমিটি রয়েছে। এ বলে তিনি ছাত্রছাত্রীদেরকে যে কোনো ব্যাপারে অভিযোগ কমিটির কাছে জানানোর পরামর্শ দেন।

গেল ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বুটেক্স একাত্তর সংঘ। এতে অংশগ্রহণ শেষে মোবাইলে ধারণ করা নিজেদের পারফরম্যান্স একসঙ্গে বসে দেখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২য় বর্ষের (৪৪তম ব্যাচ) এক শিক্ষার্থী ১ম বর্ষের ঐ শিক্ষার্থীদের মানসিক নির্যাতন করে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের একজন জানান, ‘২৬ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় আমরা আমাদের ওয়েট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হয়ে অংশ নিয়েছিলাম। এরপর আমরা ৪ জন মিলে আমাদের পারফরমেন্সের ভিডিও দেখছিলাম। এর মধ্যে ২ জন ছেলে আর ২ জন মেয়ে ছিল। এটা ঠিক যে, ক্লান্ত থাকায় এবং চেয়ারের সংকটের কারণে আমরা ৪ জন ৩টা চেয়ারে বসতে হয়েছে। যা ওই সিনিয়রের ভালো লাগেনি বলে তিনি কিছুক্ষণ পর আমাকে ডেকে পাঠান।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে তৎক্ষণাৎ দেখা করতে গেলে তিনি আমার সঙ্গে রাগারাগি করেন এবং আমাদের নামে বাজে কথা বলেন। অতঃপর মেয়েটিকে ডেকে পাঠানোর জন্য বলেন, কিন্তু মেয়েটির মা উপস্থিত থাকায় এবং সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় তিনি আমাদের পরের দিন দেখা করতে বলেন। পরের দিন সকালে আমরা তার সঙ্গে দেখা করলে তিনি আমাদের কিছু ব্যাচমেটের (৪৫তম ব্যাচ) সামনেই আমাদের কান ধরিয়ে রাখেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।’

গায়ে হাত তুলেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলে, ‘না! গায়ে হাত তোলেনি। তবে গায়ে হাত তোলা ছাড়া মানসিকভাবে নির্যাতনের জন্য যা যা করতে হয় তার কিছুই তিনি বাদ রাখেননি। যদিও আমি (ছেলে) জ্বরের কারণে অসুস্থ ছিলাম তখন।’

ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে ২য় বর্ষের ঐ শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা বর্ণনা করেন এবং তার বর্ণনার সঙ্গে ভুক্তভোগীদের বর্ণনা হুবহু মিলে যায়। তবে তিনি বলেন, ‘তারা ৪ জন ছিল না। ছিল দুই জন। একটা মেয়ে ও একটা ছেলে। যাদের ধর্মও আলাদা। তারা দুই জনে একই চেয়ারে বসেছিল এবং তাদের বাহ্যিক আচরণ আমার কাছে অশোভন মনে হয়েছিল বিধায় ডেকে শাসন করেছি।’

এ ঘটনা নিয়ে গেল কয়েকদিন উত্তেজনা চলছিল বুটেক্স ক্যাম্পাস জুড়ে। কেউ কেউ বলছে, ২য় বর্ষের ছেলেটি ১ম বর্ষের ঐ মেয়েটিকে পছন্দ করে। তাই মেয়েটির সঙ্গে ওর বন্ধুর একই চেয়ারে বসাটা পছন্দ হয়নি বলেই সে এমনটা করেছে।

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড