• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

চুয়েটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

  চুয়েট প্রতিনিধি

১৭ মার্চ ২০১৯, ১৩:১৪
চুয়েট
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন (ছবি : দৈনিক অধিকার)

যথাযোগ্য মর্যাদায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্ত্বর সংলগ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির শুরু হয়।

এ সময় উপাচার্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে ১৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

এছাড়া, আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান ভূঁইয়া, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি দেশ, পতাকা ও মানচিত্রের নাম। তিনি অকৃত্রিম দেশপ্রেম ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় সমসাময়িক রাজনীতিবিদদের পেছনে ফেলে স্ব-মহিমায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি তার মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে প্রায় ১৩ বছরে মত সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। এটাই প্রমাণ করে তিনি কত বড় ত্যাগী নেতা ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি শোষণের বিরুদ্ধে ও শোষিত মানুষের পক্ষে কাজ করে গেছেন। শিশুদের প্রতি তার মমত্ববোধ ছিল অভাবনীয়। আজ থেকে কয়েক দশক আগেই তিনি শিশুদের অধিকার ও বিকাশে বেশকিছু দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যার সুফল আজ আমাদের শিশুকিশোররা পাচ্ছেন।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহম্মদ, প্রভোস্টদের পক্ষে শহীদ তারেক হুদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রশীদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফীন, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম, কর্মচারী সমিতিরি সভাপতি মো. জামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠানে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহানের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট ও মানবিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান।

পরে আলোচনা সভা শেষে কোমলমতি শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের কেক কাটা হয়। এরপর শিশুকিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড