• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মহাসড়কে অপহরণের কবলে কুবি শিক্ষার্থী

  আহমেদ ইউসুফ, কুবি প্রতিনিধি

১০ অক্টোবর ২০২১, ১১:৩৭
কুবি
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সুমন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অপহরণের কবলে পড়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

ঢাকাগামী মাইক্রোবাসে যাত্রী সেজে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে ওই শিক্ষার্থীর কাছে নগদ ১০ হাজার টাকা পেয়ে তার চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপরাধীরা। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সুমন জানান, শুক্রবার জরুরি প্রয়োজনে তিনি কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে কুমিল্লার পদুয়ারবাজার থেকে একটি মাইক্রোবাসে উঠেন। মাইক্রোবাসটি কোটবাড়ি বিশ্বরোড অতিক্রম করে আবার চট্টগ্রাম অভিমুখী চলতে শুরু করলে গাড়িতে থাকা যাত্রীবেশী পাঁচজন লোক তার হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে। এসময় পরিবার থেকে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে তারা।

সুমন বলেন, নির্যাতনের একপর্যায়ে আমার সাথে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা। আর আমার মানিব্যাগে ১০ হাজার টাকা পেয়ে আমাকে পদুয়ার বাজারে নূরজাহান রেস্টুরেন্টের পাশে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। ফেলে রাখার আগে আমার দু’চোখে মরিচ গুঁড়া মেখে দেয় তারা।

এ ঘটনার পর সুমন চোখে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে একটি অটোতে করে বাসায় চলে যান। এরপর ৯৯৯ নাম্বারে কল করে সদর দক্ষিণ উপজেলা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি যেহেতু আমাদের থানার এরিয়ায়, তাই লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।

এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ওডি/নিমি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড