• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ঘরে আটকে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের মারধর করে বাসাভাড়া আদায়

  মামুন সোহাগ

১৩ জুন ২০২০, ১৯:৩৭
সরকারি তিতুমীর কলেজ
ছবি : সংগৃহীত

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরপর যেসব শিক্ষার্থীরা মেসে থাকেন তাদের অধিকাংশই মেস ছেড়ে নিজ বাড়িতে চলে গিয়েছেন। করোনার শিক্ষার্থীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে মেস ও বাসা ভাড়া।

সংকটের এই মুহূর্তে রাজধানীর তিতুমীর কলেজের সাত শিক্ষার্থীর সঙ্গে শ্বাসরূদ্ধকর এক ঘটনা ঘটেছে। গ্রাম থেকে শহরে বাসা ভাড়া দিতে আসলে সবাইকে রুমে আটকে রেখে বাসার মালিক ফোন, মানিব্যাগ সব ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, মালিক প্রায়ই ভাড়ার জন্য আমাদের ফোন করতো। কিছুদিন আগে ফোন করে জানায় অর্ধেক ভাড়া নিবে। তাই এ মাসের ১০ তারিখে আমরা সবাই মিলে একটা প্রাইভেট কার ভাড়া করি আর ২০ হাজার টাকা নিয়ে ঢাকা যাই। আমরা টাকা দিবো আর জিনিসপত্র দিয়ে বাসা ছেড়ে দেবো। কিন্তু বাসায় যাওয়া মাত্র মালিক আমাদের আটকে রাখে। আমাদের হাতের মোবাইল নিয়ে যায়। আমাদেরকে মারধর এর হুমকি দেয়, আমাদের সঙ্গের একজনের গায়ে হাত দেয়। কোনো প্রতিবাদ করার সুযোগ না দিয়েই আমাদের সঙ্গে থাকা ২০ হাজার টাকাও নিয়ে যায়।'

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘টাকা নিয়ে আমাদের অবরুদ্ধ করে ফেলে। তারপর তিনি অর্ধেক ভাড়ার কথা বাদ রেখে বলেন পুরো টাকা সহ সবার অ্যাডভান্স দিতে হবে। নয়তো ছাড়া যাবে না কাউকে। ভাড়াটে প্রাইভেট কারটিও আটকায় রাখে বাসার মালিক। তখন নিরুপায় হয়ে আমরা ধানমন্ডি এক ভাইয়ের কাছে সব খুলে বলি এবং ৫০ হাজার টাকা দিলে আমাদেরকে ছেড়ে দেয়।’

মেসের অনেক শিক্ষার্থী টিউশন বা খণ্ডকালীন চাকরি করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালান। আবার অনেকে নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারও চালান। কিন্তু করোনা মহামারিতে এসব শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছেন। পরিবারের আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা মেসের ভাড়া পরিশোধ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছেন অনেক শিক্ষার্থী।

কলেজের প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থীও ভাড়া বাসা নিয়ে ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, এই করোনা পরিস্থিতিতেও ঢাকায় এনে ছেড়েছে! ক্যাম্পাস বন্ধের পর দুইমাস বাড়িওয়ালার বাসায় থাকিনি। কিন্তু বাড়িওয়ালা পুরো দু' মাসের ভাড়া নিয়েছে। অনেক বলে কয়েও কাজ হয়নি। অসচ্ছল পরিবার হওয়াতে সুদে ধার করে মেস ভাড়া পরিশোধ করেছি। যা আমার জন্য চরম কষ্ট ও হতাশার।’

আরও পড়ুন : আগামীকাল ঢাবির সিনেট অধিবেশন

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নাসির বলেন, ‘এমন কোনো খবর শুনতে পাইনি। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে অবশ্যই তাদের সহযোগিতা করা হবে।’

এদিকে, মহাখালীর লিজা বেকারির সামনের গলির এই বাসার মালিক সকিনা বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে অনেকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড