• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ঢাবিতে সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে পতাকা উত্তোলন   

  ঢাবি প্রতিনিধি

০২ মার্চ ২০২০, ১৯:২১
ঢাবি
পতাকা উত্তোলন সমাবেশ ( ছবি : দৈনিক অধিকার)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) তিন রঙয়ের পতাকা উত্তোলন করে ভারতের সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২ মার্চ) ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘সীমান্ত হত্যা রুখো আন্দোলন’ ব্যানারে এই পতাকা সমাবেশ করেন তারা। এতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।

স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর ফের তিন রঙয়ের পতাকা উড়ায় শিক্ষার্থীরা। লাল, সবুজের মাঝে সোনালী রঙয়ের বাংলাদেশের মানচিত্রের পতাকা উত্তোলন করেন সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ৩৮ দিন যাবত অবস্থানকারী ঢাবি শিক্ষার্থী ‘নাসির আব্দুল্লাহ’।

এছাড়া সমাবেশের ব্যানারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারে বাংলাদেশের রক্তাক্ত পতাকা ঝুলে থাকার ছবি লক্ষ্য করা যায়।

পতাকা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্ট ঢাবি শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি জাহিদ সুজন প্রমুখ। পতাকা সমাবেশে ‘গো ব্যাক, গো আউট ইন্ডিয়া’ শ্লোগানে ‘সরকারি চাকরি হতে ভারতীয় হটাও, ভারতীয় মুক্ত বাংলাদেশ চাই’; ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দিন, মানচিত্র রক্ষার শপথ নিন’; ‘সীমান্ত হত্যা ঠেকাও, বাংলাদেশ বাঁচাও’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘২মার্চ আত্মোপলব্ধির মাস। আপনাদের মতো শিক্ষার্থীরাই সেদিন এই উপলব্ধি করে পতাকা উত্তোলন করেছিল। কিন্তু আমরা তা হারাতে বসেছি।’

তিনি আরও বলেন, এই মার্চেই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি বাংলাদেশিদের লোক কিন্তু তার দলের সরকার এখন বলছে আমরা ভারতীয়দের লোক।’ তারা ১৭ মার্চে মোদীকে প্রধান অতিথি করে নিয়ে আসতে চায়। বয়োবৃদ্ধদের দিয়ে কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম সম্ভব নয়, তোমাদেরকেই তা করতে হবে। বোরকা পরে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। সব বাঁধা পেরিয়ে ভয়কে জয় করে তোমরাই পারবে বাংলাদেশকে এই শকুনের হাত থেকে মুক্ত করতে।’ ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ‘জাতীর পতাকা আজ একদল শকুন খামচে ধরেছে। আমরা আজ তা উড়াতে এসেছি। শহীদ আবরার সেই পতাকায় উড়াতে চেয়েছিল। এক আবরার মরেছে। প্রয়োজনে আরও লক্ষ আবরার মরবে। ভারতে মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশি হিসাবে আমরা তা মানতে নারাজ। কারণ আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক জাতি। এই অসাম্প্রদায়িক দেশে যদি মোদীকে নিয়ে আসা হয় তাহলে ছাত্র সমাজ বসে থাকবে না।’ দীর্ঘদিন যাবত অবস্থানকারী ঢাবি শিক্ষার্থী নাসির আব্দুল্লাহ বলেন, ‘১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক বটতলাতে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয়ে ছিল। দুঃখের বিষয়, স্বাধীনতার এতো দিন পরেও আজ আমাদের ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পতাকা উত্তোলন করতে হচ্ছে। এদেশের পতাকা যতদিন থাকবে ততদিন আমার আমাদের দেশকে বিন্দুমাত্র সরাতে দিব না। দেশের ছেলেরা চাকরির জন্য আন্দোলন করছে কিন্তু ভারতীয় দোসররা দেশ থেকে লাখ লাখ ডলার নিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যে রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলাম, দেশ তা থেকে দূরে সরে দাঁড়িয়েছে। সেই সাম্যের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য, আমরা এই পতাকা উত্তোলন করেছি।

আরও পড়ুন : সিকৃবির কৃষি প্রকৌশল অনুষদে অগ্নিকান্ড তিনি আরও বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িক সরকারকে আসতে দিবো না। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশে যে সকল ভারতের দালালরা আছেন, সাবধান হয়ে যান। এক আবরার জীবন দিয়েছে, লাগলে আরও লাখো আবরার জীবন দিবে। তবুও ভারতের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। যতদিন দেহে রক্ত থাকবে, ততদিন এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো। ভারত একের পর এক চুক্তি করে, তবে তা রক্ষা করে না। বাংলাদেশ থেকে ভারতকে হটাবোই।’

ওডি/এমআরকে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড