• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শিক্ষা-গবেষণার মান ও পরিবেশ

৮ বছরে ২০০ ধাপ পেছাল ঢাবি

  ঢাবি প্রতিনিধি

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:৩৫
ঢাবি
কার্জন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ছবি : সম্পাদিত)

শিক্ষা-গবেষণার মান ও পরিবেশ বিবেচনায় গত ৮ বছরে বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে ২০০ ধাপ পিছিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‍্যাংকিংয়ের জন্য বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান কোয়াকোয়ারেলি সাইমন্ডসের (কিউএস) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০১২ সালের জরিপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক অবস্থান ছিল ৬০১তম। ২০২০ সালে সেটি ৮০১ এ যেয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অবনতিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন না প্রশাসন। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এখন থেকে সচেতন না হলে আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার বিশেষত্ব হারাবে।

র‍্যাংকিংয়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম অর্থের মধ্যে সবচেয়ে ভালো আউটপুট আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের মূল লক্ষ্য র‌্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থান অর্জন না। আসলে একটি কমার্শিয়াল ভেনচার নিয়ে র‍্যাংকিংয়ের আবির্ভাব ঘটেছিল। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত এবং তার পেছনের বাজেট র‍্যাংকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সেই মানদণ্ডে রাশিয়ার অনেক নামকরা অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান র‍্যাংকিংয়ে থাকে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘র‍্যাংকিংয়ে অবস্থান করার জন্য লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের প্রতিবছর কিছু প্রয়াস ও উদ্যোগ থাকে, যাতে তাদের অবস্থানটা সবসময় ওপরে থাকে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বিশ্বের সেরা সেরা শিক্ষার্থী ও গবেষকদের আকৃষ্ট করতে পারে। একই মানদণ্ড বিবেচনায় রেখে যখন মূল্যায়ন করা হয় এবং একটি কমার্শিয়াল ভেনচার মাথায় থাকে, তখন আমাদের কুলিয়ে ওঠা কঠিন হয়। তাই দিন দিন র‍্যাংকিং নামক কমার্শিয়াল খেলায় আমরা পিছিয়ে।’

সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ-পঠনের মান, গবেষণা, আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানক্রম নির্ধারণ করা হয়। গবেষণায় কম বরাদ্দ ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশনা সংখ্যা কম, শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা কম থাকা ও ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদ না করার কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০১২ সালের বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ছিল ৬০১ তম। ২০১৩ সালে কোনো জরিপ প্রকাশ করেনি কিউএস। ২০১৪ সালে হঠাৎ করে ১০০ ধাপ পেছায় ঢাবি। বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান হয় ৭০১+ তম। এরপর ২০১৭ সাল পর্যন্ত র‌্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকে। ২০১৮ সালে গিয়ে কিছুটা অবনমন হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দাঁড়ায় ৭০১-৭৫০ তম। এরপর ২০১৯ সালে এসে বড় অবনমন হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দাঁড়ায় ৮০১-১০০০ তম। ২০২০ সালেও বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে একই অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুন : পবিপ্রবিতে রংধনুর নবীন বরণ

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বাজেটের মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ গবেষণায় ব্যয় করা হচ্ছে। এর ফলে কাঙ্ক্ষিত মানের ভালো গবেষণা হচ্ছে না। শিক্ষকদের মধ্যেও গবেষণায় আগ্রহ আশঙ্কাজনক হারে কমছে। আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশনাও কমছে। আর যেসব কাজ হচ্ছে সেগুলোও নিয়মিত ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয় না। এর ফলে র‌্যাংকিং সংস্থাগুলো অনেক সময় তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পায় না। তাই বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থান অর্জনে গবেষণা ও প্রকাশনা বাড়ানোর বিকল্প নেই।’

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড