• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি

যবিপ্রবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধর্মঘট

  যবিপ্রবি প্রতিনিধি

০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:৪৩
যবিপ্রবি
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান ধর্মঘট (ছবি : দৈনিক অধিকার)

ভর্তি পরীক্ষায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারিতোষিকের হার বৃদ্ধিসহ আট দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা এ অবস্থান ও ধর্মঘট পালন করেন। দাবি পূরণ না হলে আগামী শনিবার থেকে কর্মবিরতিসহ বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তারা।

ধর্মঘট শেষে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমানের হাতে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়।

এ সময় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেশের বাইরে, তিনি দেশে ফিরলেই এ সকল দাবির বিষয়ে যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।’

স্মারকলিপিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের ভর্তি পরীক্ষার পারিতোষিক একই সঙ্গে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এটা না করলে তারা কাজ করার উদ্যম হারিয়ে ফেলবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পারিতোষিক বরাদ্দের বিষয়ে কোনো কিছু না জানিয়ে হিসাব দপ্তরকে চাপ প্রয়োগ করে ব্যাংকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারিতোষিক প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারিতোষিক দেওয়ার পূর্বে সংশ্লিষ্ট সমিতিকে অবহিত করতে হবে।

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার যথাযথ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে অবৈধভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি সংক্রান্ত আদেশ দিচ্ছেন। তার এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে হবে এবং ভবিষ্যতে বদলির ক্ষেত্রে কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতিকে অবহিত করতে হবে। যে সকল পদে বিজ্ঞপ্তি দিলে আপগ্রেডেশনের কোনো বাধা সৃষ্টি হবে না, সেখানে উপাচার্যকে প্রভাবিত করে ওই সকল পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নিয়োগ বোর্ড দিতে বাধা সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে ডিউ ডেট হলেও অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আপগ্রেডেশন বিলম্বিত হচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। দায় পোহাতে হচ্ছে সর্বোচ্চ প্রশাসনকে। অবিলম্বে এ সকল জট ছাড়াতে হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের অতিদ্রুত আপগ্রেডেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ২০০১-এর ১৫ নম্বর ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার একজন আবাসিক কর্মকর্তা হবেন। কিন্তু তিনি অফিস টাইম ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করেন না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। তড়িৎ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনের আশু ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ২০০১-এর (খ) নম্বর উপধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গোপনীয় প্রতিবেদন, রেকর্ডপত্র, দলিলপত্র ও সাধারণ সিলমোহর রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। কিন্তু গত কয়েক মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গোপনীয় প্রতিবেদন, রেকর্ডপত্র ও চিঠি ফাঁস হয়েছে। ফলে সবার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্টের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট লঙ্ঘন করার দায়ে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

আরও পড়ুন : এইচএসসির দুই মাস আগে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ!

স্মারকলিপিতে আরও দাবি করা হয়, রেজিস্ট্রার দপ্তরের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুন্সি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ করছেন। তিনি কাউকে কাউকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করছেন, প্রকাশ্যে অশ্লীল ভাষায় কদর্যপূর্ণ গালিগালাজ করেছেন। যা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাধারণ আচরণ, শৃঙ্খলা ও আপিল সংক্রান্ত বিধির ৫ নম্বর ধারার (ঠ) উপধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। চাকরি সংক্রান্ত এ বিধি লঙ্ঘন করায় জনাব মুন্সি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করছি।

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড