শাবিপ্রবির আইপিই বিভাগে র্যাগিং বিরোধী ক্যাম্পেইন
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগে মাসব্যাপী ‘র্যাগিং বিরোধী ক্যাম্পেইন’ শুরু করেছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে আইপিই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে মাসব্যাপী এ ক্যাম্পেইন শুরু হয়। এ সময় বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে র্যাগিং বিরোধী সচেতনতা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আইপিই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মুহসিন আজিজ খান বলেন, ‘নবীন শিক্ষার্থীদের আগমনে ক্যাম্পাসে র্যাগিং বাড়ে। এর প্রেক্ষিতে আমরা সবার মধ্যে র্যাগিং বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ ক্যাম্পেইন শুরু করেছি। ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে সবাইকে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতন করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, অনেক সময় নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করা হলে তারা শিক্ষক বা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে না। এর প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা যাতে সঠিকভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে সেজন্য আমাদের এ ক্যাম্পেইন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন উপাচার্য। সেই নীতির আলোকে আমরা এ ক্যাম্পেইন শুরু করেছি। ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধারা চলবে। আমরা চাই শাবিপ্রবিতে কোনো র্যাগিং থাকবে না।’
মাসব্যাপী এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভাগের ক্লাস রুমের সামনে র্যাগিং বিরোধী স্টিকার লাগানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গাতে আইপিই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে র্যাগিং বিরোধী ব্যানার ফেস্টুন লাগানো হয়েছে।
এছাড়া এ ক্যাম্পেইনের সঙ্গে আইপিই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন একাত্মতা পোষণ করেছেন বলে জানান ড. মুহসিন আজিজ খান। এ সময় ক্যাম্পেইনে বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, সোসাইটির নেতৃবৃন্দ ও সচেতন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন : চবিতে প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে অর্ধনগ্ন করে রাতভর র্যাগিং করার দায়ে বিভিন্ন বিভাগের ২১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি শাবিপ্রবিতে র্যাগিংয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়। এরপর থেকে শাবিতে র্যাগিং কমে এসেছে।
ওডি/এমএ
