• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে শাবি প্রশাসনের বাধা

  শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

২০ নভেম্বর ২০১৯, ২১:১০
শাবিপ্রবি
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শাবিপ্রবি প্রশাসনের বাকবিতণ্ডা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

শীতকালীন অবকাশ ও তৃতীয় সমাবর্তন উপলক্ষে আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এদিকে অনুমতি না নেওয়ার অজুহাতে মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ‘শীতকালীন বন্ধের সময়ে অযৌক্তিক পরিবর্তন মানি না’, ‘সমাবর্তনের সময় ক্যাম্পাস বন্ধ চাই না’, ‘সাবেক ও বর্তমানদের মেলবন্ধনে ছেদ ঘটানো চলবে না’, ‘সমাবর্তনের সময় বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল খোলা রাখতে হবে’, ‘সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ মানি না’ ইত্যাদি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা যায়।

মানববন্ধন চলাকালীন ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদসহ কয়েকজন সহকারী প্রক্টর উপস্থিত হন। এ সময় কোনো ধরনের অনুমতি না নেওয়ায় প্রক্টরিয়াল বডি মানববন্ধনে বাধা দেন। এছাড়া এক পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির ঘণ্টাব্যাপী বাকবিতণ্ডাও চলে।

পরবর্তীতে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ‘শীতকালীন অবকাশ ও সমাবর্তন চলাকালীণ ক্যাম্পাস ও আবাসিক খোলা রাখার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় মানববন্ধনে প্রক্টর বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এতে মানববন্ধন পণ্ড হয়ে যায়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রক্টরের ভাষ্যমতে ক্যাম্পাসে যে কোনো অবস্থানমূলক কর্মসূচির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি আবশ্যক। তবে আমরা মনে করি প্রক্টরের এমন দাবি অগণতান্ত্রিক।’ এছাড়া শিক্ষার্থীরা শীতকালীন ছুটি ও সমাবর্তনের সময়ে ক্যাম্পাস ও হল খোলা রাখার দাবি জানান প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় একটি সুনির্দিষ্ট নিয়মের মধ্য দিয়ে চলে। বিভিন্ন বিভাগ বা সংগঠন কোনো কর্মসূচি পালনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে থাকে। সুতরাং আমি মনে করি আমাকে আগে থেকে এ বিষয়ে জানানো উচিত ছিল।’

এদিকে মানববন্ধনে বাধা প্রদানের বিষয়ে প্রক্টর বলেন, ‘তারা কোনো ফরমাল অনুমতি নেয় নি। যদি তারা কোনো ধরনের উশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করে তার দায়ভার কে নেবে? এজন্য আমি তাদেরকে অনুমতির বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করেছি।’ এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী একটি প্রশাসন রয়েছে। তারা ভাবনা চিন্তা করে আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শীতকালীন অবকাশ হওয়ার কথা থাকলেও গত ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়। এদিকে আগামী ৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনের সার্বিক নিরাপত্তার কথা ভেবে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধাস্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড