• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ভর্তিচ্ছুদের জন্য প্রস্তুত জাককানইবি

  জাককানইবি প্রতিনিধি

১৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৪:২৬
জাককানইবি
ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র করে জাককানইবিতে উৎসবের আমেজ (ছবি : দৈনিক অধিকার) 

‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) শুরু হচ্ছে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য আঞ্চলিক সংগঠনগুলো খুলেছে তথ্য কেন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি গেটের প্রবেশমুখের উভয়পাশে সারি সারি এসব তথ্য কেন্দ্রের স্টলগুলো জানান দিচ্ছে ভর্তিচ্ছুদের আগমনে প্রস্তুত ক্যাম্পাস।

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে প্রায় ৩৫ হাজার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। অচেনা ক্যাম্পাসে তাদের অবস্থান ও চলাফেরা নির্বিঘ্ন করতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা। উৎসবের আমেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় অর্ধ শতাধিক তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করেছে স্বেচ্ছাসেবী ও অঞ্চল ভিত্তিক নানান সংগঠন। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সমূহ ছেয়ে গেছে সংগঠনগুলোর লিফলেট ও ব্যানারে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আসন বিন্যাস, ভবনের দিক নির্দেশনাসহ বিভিন্ন বিষয়ের নির্দেশক প্যানা, বিলবোর্ড গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তার দু’পাশের গাছগুলোকে সাজানো হয়েছে নানা রঙে। সৌন্দর্য বর্ধনে ইতোমধ্যে পুরাতন গাছকে ছাঁটাই ও নতুন করে রোপণ করা হয়েছে বিভিন্ন জাতের ফুল গাছ। ভর্তি পরীক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ তম ব্যাচের (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) ‘তারুণ্য -১৩’ উদ্যোগে জয় বাংলা ভাস্কর্য থেকে চেকপোস্ট পর্যন্ত প্রায় তিনশ মিটার আলপনা আঁকা হয়েছে।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগও। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রদান ও শিক্ষার্থী সহায়তা কেন্দ্র, বাইক সার্ভিস, হলে থাকার সুব্যবস্থা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সরঞ্জাম বিতরণ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বসার জন্য প্যান্ডেলের ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সংগঠনটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান দু’টি প্রবেশপথ ছাড়া অন্যান্য প্রবেশ পথ কাঁটাতার দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে পরীক্ষা চলাকালীন কমপক্ষে ১০০ জন পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে এবং সন্দেহভাজন যে কাউকে তল্লাসি করা হবে। এছাড়াও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমান আদালত উপস্থিত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধান জানান, র‌্যাগিংসহ যে কোনো অনিয়ম প্রতিরোধে নিয়মিত নজরদারি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিভিন্ন খাবার হোটেলগুলোর খাবারের মান ও দাম নিয়ন্ত্রণে প্রক্টরিয়াল বডি নজরদারি করবে। সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও গার্ড নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকবে।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১২টায় কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন এবং যে কোন ধরনের জালিয়াতি রোধ করতে সতর্ক অবস্থানে থাকবে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জালাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা শেখ সুজন আলী, সহকারী প্রক্টর নজরুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সংবাদকর্মীরা ছাড়াও ত্রিশাল উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রথমবারের মত এমসিকিউর পাশাপাশি থাকবে লিখিত পরীক্ষাও। নতুন পদ্ধতিতে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ পরীক্ষার সময় ৫০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার সময় ৪০ মিনিট।

অন্যদিকে পূর্বের দেয়া তথ্যানুযায়ী আবেদনকারীর সংখ্যার চেয়ে ১০৮ জন বৃদ্ধির বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে ওয়েবসাইট, প্রশ্নপত্র ও এসএমএস উপকমিটির সভাপতি ড. মো. শেখ সুজন আলী জানান, নিয়ম হচ্ছে টাকা জমা দিয়ে তারপর অনলাইনে আবেদন করতে হয়। এরমধ্যে ২ শতাধিক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন ফি জমা দিয়েছিল কিন্তু নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর রাত ১২ টার আগে অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারেনি তাদেরকে মেসেজ করে পুনরায় অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে ১০৮ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে।

তিনি আরও জানান, ১০৮ জনকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদারতার পরিচয় দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সন্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি জমা দিয়েও নির্ধারিত সময়ে অনলাইন ফরম পূরণে ব্যর্থ হওয়া ১০৮ জন ভর্তিচ্ছুর আবেদন মঞ্জুর করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গত ৩১ অক্টোবর রাত ১২ টায় অনলাইনে আবেদনের সময় শেষ হলে আবেদন জমা পড়েছিল ৩৪ হাজার ৮ শত ২২টি। ওয়েবসাইট, প্রশ্নপত্র ও এসএমএস উপ কমিটির সভাপতি ড. মো. শেখ সুজন আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন। বর্তমানে দেয়া তথ্য মতে, মোট ভর্তিচ্ছুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৯ শত ৩০ জনে।

১৭ নভেম্বর ‘এ’ ইউনিট, ১৮ নভেম্বর ‘বি’ ইউনিট, ১৯ নভেম্বর ‘সি’ ইউনিট, ২০ নভেম্বর ‘ডি’ ইউনিট এবং ২১ নভেম্বর ‘ই’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার সকল তথ্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (jkkniu.edu.bd) -এ পাওয়া যাবে।

ওডি/জেআই

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড