শিক্ষা ডেস্ক
শিক্ষকতা সম্মানজনক হলেও স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার বেশিরভাগ শিক্ষক এ পেশায় সন্তুষ্ট নয়। দেশের প্রায় ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষক অসন্তোষ এই পেশায়। চাকরির যথেষ্ট ক্ষেত্র না থাকায় শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন ৪২ শতাংশ শিক্ষক।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর এলজিইডি মিলনায়তনে প্রকাশিত শিক্ষা বিষয়ক এনজিও ব্যবসায়ী গণসাক্ষরতা অভিযানের ‘এডুকেশন ওয়াচ রিপোর্ট ২০১৮-১৯’-এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষক তাদের বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর শিক্ষকতা পেশা ছাড়তে চান ৫ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষক। তবে পেশা, প্রতিষ্ঠান ও সম্মানী মিলিয়ে তুলনামূলকভাবে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে সন্তুষ্টি বেশি। তাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ তিনটি ক্ষেত্রেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সর্বোমোট ৬০০টি সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার তিন হাজার শিক্ষকের সাক্ষাৎকারের সমন্বয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নমুনাভুক্ত শিক্ষকদের ৫৩ দশমিক ২ শতাংশের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করাই ছিল প্রথম পেশা। এক-পঞ্চমাংশ শিক্ষক এর আগে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন, ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ অন্য পেশা থেকে এসেছেন। আর মোট শিক্ষকের দুই-তৃতীয়াংশ জানিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় একটি পেশা রয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার জন্য ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ নিজেরাই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করছেন। অন্যদিকে ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষক বলেছেন, সমিতি থেকে প্রশ্ন কেনা হয়। ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষক জানিয়েছেন খোলাবাজার থেকে প্রশ্ন কেনার কথা আর ১০ দশমিক ৩ শতাংশ অন্য শিক্ষকের সহায়তায় প্রশ্ন প্রণয়ন করছেন।
রিপোর্ট প্রকাশের সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন। সেই সূত্রে এই রিপোর্ট চমৎকার একটি পদক্ষেপ।
ওডি/জেআই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড