• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পরিবহন ফি দিয়েও সেবা থেকে বঞ্চিত কুবি শিক্ষার্থীরা

  কুবি প্রতিনিধি

২১ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৩৭
পরিবহন ফি দিয়েও সেবা থেকে বঞ্চিত কুবি শিক্ষার্থীরা

গত এক বছরেরও অধিক সময় ধরে জ্বালানি সাশ্রয় ও কৃচ্ছসাধনে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার সশরীরে ক্লাস ও পরিবহন সেবা বন্ধ রেখেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই নীতির আওতায় সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকলেও প্রায় সময় বৃহস্পতিবার পরীক্ষায় বসতে হয় শিক্ষার্থীদের।

ফলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, ২০২২ সালের ২৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭২ তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে জ্বালানি সাশ্রয় ও কৃচ্ছসাধনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তের পর গেল বছরের ১ আগস্ট থেকে বৃহস্পতিবার ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এছাড়াও এই নীতির আওতায় প্রশাসনিক, একাডেমিক ভবন এবং হলসমূহের কক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বন্ধ রাখা এবং লাইট-ফ্যান সীমিতভাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

তবে শীতাতাপ যন্ত্র ও ফ্যান, লাইট ব্যবহারের সেই সিদ্ধান্ত মানছেন না খোদ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাই। তবে পরিবহন সেবা থেকে এখনও বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফি দেওয়া সত্ত্বেও পরিবহনের সেবা পাচ্ছেন না তারা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য বৃহস্পতিবার বাস দিতে প্রশাসনের কাছে কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো প্রশাসন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। এছাড়াও ভর্তির সময় প্রতি বিজোড় সেমিস্টারে ১০০০ টাকা পরিবহণ ফি দিয়ে থাকে শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হয় তাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাদের অধিকাংশই টিউশন করে চলতে হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে আমাদের চলতে কষ্ট হয়। সেই জায়গা থেকে চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।

লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন যুক্তিতে বৃহস্পতিবারে স্ব-শরীরে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখছে সেটা জানি না। যদি অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে তাহলে বিভিন্ন সময় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা কেন নেওয়া হয়?

তিনি আরও বলেন, আমরা যেখানে প্রতিবছর পরিবহণ ফি দিয়ে থাকি, সেখানে অতিরিক্তি খরচ করে কেন পরীক্ষা দিতে আসতে হবে। জ্বালানি সংকটের দোহাই দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বন্ধ করা দরকার। প্রশাসন আসলে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।

এসব বিষয়ে পরিবহন পুলের প্রশাসক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার বলেন, পরিবহন সেবা বন্ধে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এগুলো প্রশাসনের সিদ্ধান্ত। আমরা শুধু দায়িত্ব বাস্তবায়ন করি।

অন্য দিকে পরিবহন সেবা বিষয়ে পরিবহন পুলের প্রশাসক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদারের সাথে কথা বলতে বলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আমিরুল হক চৌধুরী।

তবে শিক্ষার্থীদের সাথে একমত পোষণ করে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তাদের সাময়িক সময়ে কষ্ট হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কষ্ট হয় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের উচিত না। আমাদের বিকল্প পদ্ধতি খুঁজে বাহির করতে হবে। আমি বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের সাথে কথা বলে দেখবো।

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড