ইবি প্রতিনিধি
সাভারের আশুলিয়ার একটি ভবনের ছয় তলা ছাদ থেকে পড়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী নওরীন নুসরাত স্নিগ্ধার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। যদিও এটিকে আত্মহত্যা বলে জানান পুলিশ। তবে নওরীনের এই মৃত্যু স্বাভাবিক আত্মহত্যা বলে মানতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
তার এ মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুল ধরছেন শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রহস্যজনক এ মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের পোস্ট করতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের আরশি আঁখি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে লিখেছেন, আজ নওরীন নুসরাত আপুর বাবার সাথে কথা হলো- তার একটাই আর্তনাদ তা হলো- "আমার মৃত্যুর আগে অন্তত আমার মেয়ের হত্যার বিচার হোক।"
এখনো বলবেন এটা আত্মহত্যা :
যারা হত্যা করলো কিংবা বাধ্য করলো, তারা দিব্যি দিনের আলোয় নেচে গেয়ে বেড়াচ্ছে। ক্ষমতার প্রভাবে কি দারুণ বেঁচে থাকছে। একটা পরিকল্পিত হত্যাকে আত্মহত্যা নাম দিয়ে পালিয়ে গেল। আচ্ছা এই যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী যাদের নাকি অনেক শক্তি। তাদের ভয়েস রেইজ করলে নাকি দেশের সকল অনিয়ম পরিবর্তন হতে বাধ্য। তারা সবাই কি একটু সোচ্চার হয়ে অন্তত এই মামলার তদন্ত নিয়ে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারি না। আপনারা কি চান নাহ প্রত্যহ এমনভাবে নওরীন নুসরাতের মৃত্যু না হোক। একজনের বিচার দেখে অনেক জন সচেতন হোক।
আপুর পরিবার থেকে মামলা করেছে অথচ পুলিশ একটুও নড়েচড়ে বসছে নাহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসতে নাকি অনেক দেরী। তাহলে কি এভাবে সব থেমে যাবে।
কেন এটা আত্মহত্যা নয় :
একটা মানুষ ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে অথচ একজন মানুষ ও দেখেনি এটা। এমনকি বাড়ির দারোয়ান ও জানে না কখন পড়েছে। হসপিটালে যখন মৃত্যু কনফার্ম করার পর তাকে দেখতে পেল, সেই মুহূর্তে তার শরীরে থেঁতলে যাওয়ার কোনো চিহ্ন নেই। মাথায় কোনো আঘাত নেই। চুল এলোমেলো ভাবে কেটে রেখেছে কেউ। মারা যাওয়ার আগে তাকে একটা কক্ষে আঁটকে রাখা ছিল, অথচ সে নাকি ছাঁদ থেকে লাফ দিয়ে মারা গেল।
বিয়ের ১৫ দিন হতে পারিনি তারা কড়া ভাষায় পড়াশোনা বন্ধ এবং বাচ্চা নেওয়ার জন্য প্রেশারাইজড করলো। কোনোভাবে পালিয়ে ক্যাম্পাসে না আসতে পারে, তাই তাকে আঁটকে রাখা হতো সারাদিন। এবং নেটওয়ার্কের বাইরে রাখা হতো সেই সময়। একটা মানুষ যাকে কক্ষে আঁটকে রাখা হতো। তার মারা যাওয়ার জন্য রুমে এতো অপশন থাকতে, কেন সে ছাঁদে গিয়ে লাফ দিল?
আপুর বিয়ের সাক্ষীতে তার স্বামীর পাতানো একজন মা "মিতালী হোসেন নাম" উনি উকিল ছিলেন বিয়ের। মৃত্যুর ৩ দিন যেতে নাহ যেতেই তারা রিলস শেয়ার, ঘুরাঘুরি ও আড্ডার ছবি শেয়ার করছিলেন ফেসবুকে। আচ্ছা এত সহজে শোক ভোলা যায়?
আংকেলের কথায় যা বুঝলাম তা হলো- ঐ মহিলার অনেক প্রভাব থাকায়, সেটার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন আপুর স্বামী। আংকেল পুলিশের কাছে যতবার গিয়েছেন ততবার তাদের থেকে একটা অনুগ্রহ এবং অনেকটা পাত্তা না দেওয়ার বিষয় লক্ষ্য করেছেন। এটা আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা সেটা জানার জন্য হলেও সকলের উচিত একত্রিত হয়ে সবকিছুর সমাধান করতে চাপ সৃষ্টি করা। সকলকে অনুরোধ করছি এগিয়ে আসুন সবাই।
এ দিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনেও তারা বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- নওরীনকে হয় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে অথবা তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। এটির সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি তুলেন তারা। এছাড়াও তারা নওরীন লাফ দিয়েছে নাকি পড়ে গেছে নাকি ফেলে দেওয়া হয়েছে এসব প্রশ্ন তুলেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড