ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী নওরীন নুসরাত স্নিগ্ধাকে বিয়ের পরে স্বামীর পরিবার থেকে তাকে পাশবিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে বিছানায় ঘুমাতে দেওয়া হয়নি ঘুমাতেন ফ্লোরে। তার হাতের রান্না না খেয়ে ফেলা দেওয়া হত জানালা দিয়ে।
সারাদিন গৃহে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। সে অসুস্থ ছিল তার নিয়মিত ঔষধ সেবন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরিবার ও অন্যদের সাথে যোগাযোগে বাধা দেওয়া হয়েছিল। বিয়ের পূর্বে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করবার কথা জানালেও তার পড়ালেখাতে দেওয়া হচ্ছিল বাধা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নওরীনের পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র প্রতিবেদকের কাছে এসব কথা বলেন।
সূত্র আরও বলেন, মৃত্যুর দিন নওরীনের বাবা তার বাসায় যেতে চেয়েছিলেন। তবে তার হাসবেন্ড সন্ধ্যা ৬ তার পরে সেখানে প্রবেশ করতে বলেন। এর পূর্বে সেখানে প্রবেশের জন্য মানা করেন। নওরীনের পরিবারের খুব ভয়ে আছে। তারা এসকল বিষয়ে চাপে মুখ খুলতে পারছে না।
সূত্র আরও বলেছেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। আত্মহত্যা হলেও তাকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছে। এ ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিয়ের ১৬তম দিনে সাভারের আশুলিয়া এলাকার ৬তলা একটি ভবন থেকে পড়ে নওরীন নুসরাতের মৃত্যু হয়। আগে গত ২১ জুলাই তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটি আত্মহত্যা বলে জানান।
এ দিকে নওরীন নুসরাতের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১২ আগস্ট) আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের আয়োজনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় বক্তারা সে আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে এসব অভিযোগ আনেন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড