• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজ, আদা-রসুন ও কাঁচা মরিচের দাম

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

২৩ আগস্ট ২০১৯, ১১:৩৯
কাঁচাবাজার
(ছবি: সংগৃহীত)

ঈদের এক সপ্তাহ আগে বাড়তি দামে পেঁয়াজ, আদা-রসুন ও কাঁচা মরিচ রবিক্রি হলেও পরে তার দাম কিছুটা কমতে থাকে। তবে ঈদের পরে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ-রসুন-আদাসহ মসলার দাম বেড়েছে। কাঁচাবাজারে আদা-রসুন ও কাঁচা মরিচ ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের পরে পাইকারি বাজারে মালামাল সংকট থাকায় দাম বাড়তি রয়েছে। আর খুচরা বাজারে এই দাম বৃদ্ধির প্রভাব দেখা গেছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজার শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, খিলগাঁও, রামপুরার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। অথচ সপ্তাহ খানেক আগেও যা ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। আর রসুন কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন ২০০ টাকা, ভারত থেকে আমদানি করা রসুন ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি আদার দামও কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। দেশি আদা ২০০ থেকে ২১০ টাকা, আমদানি করা আদা (মোটা) ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আর কাঁচা মরিচ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ঈদের পর নতুন করে বাজারে মালামাল না আসায় সংকট দেখা দিয়েছে। এতে মোকামে সব মালের দাম চড়া হওয়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। আর বিক্রেতাদের দিকে আঙুল তুলে ক্রেতারা বলেন, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নানা অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এতে তারা লাভবান হলেও আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। খিলগাঁওয়ে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ঈদের আগে সরকারিভাবে বাজার তদারকি করায় দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। আর তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে আবার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

মালিবাগের এক ব্যবসায়ী বলেন, এখন মোকামে মালামাল সরবরাহ নাই, প্রতি ঈদের পর এ পরিস্থিতি হয়। এজন্য মোকামে দাম বেশি যার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে। তবে পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে আহামরি দাম বাড়েনি।

তবে জিরা, জয়ত্রী, গোল মরিচ, এলাচ দারুচিনির দাম অপরিবর্তিত আছে। বাজারে এলাচ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকা, জিরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, গোল মরিচ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, জয়ত্রী ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকা, লবঙ্গ ৮৫০ টাকা, দারুচিনি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খোলা হলুদ ও মরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড