• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কাঁচা মরিচের ঝাঁজ কমলেও চড়া মসলার বাজার

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

০২ আগস্ট ২০১৯, ১৫:২৫
বাজার
(ছবি: সংগৃহীত)

রাজধানীর বাজারগুলোতে আবারও ঊর্ধ্বমুখী আদা, রসুন, দেশি ও কক মুরগির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে মানভেদে প্রতি কেজি আদা ২০ টাকা, রসুন ৪০ টাকা ও মুরগি ৩০ টাকা প্রতি পিসে বেড়েছে। আর সবজির দাম না বাড়লেও সর্বনিম্ন ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে মাছের বাজারেও আগুন। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। আর আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল, তেল, আটা, ময়দা, চিনি, লবণসহ অন্যান্য মুদিপণ্য।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও, সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে শুক্রবার (২ আগস্ট) এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদুল আজহার বাকি মাত্র এক সপ্তাহ। ফলে আদা ও রসুনের চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য দুটির দাম বেড়েছে। এছাড়া দেশি ও কক মুরগির চাহিদা বেড়েছে কিন্তু চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম, সেজন্য দাম বেড়েছে।

রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, আমদানিকৃত চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে যার দাম ছিল ১৪০ টাকা। এছাড়া দেশি আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকার পরিবর্তে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়। আমদানিকৃত চায়না রসুন গত সপ্তাহে যেখানে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল, চলতি সপ্তাহে তার দাম বেড়ে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি রসুন ১৪০ টাকার পরিবর্তে ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া গোল হলুদ, মরিচ, মরিচের গুড়া, জয়ত্রী, এলাচ, দারুচিনির দামও চড়া। আর এলাচ দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকা, জয়ত্রী দুই হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৬০০ টাকা, গোল মরিচ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা,লবঙ্গ ৮৫০ টাকা, জিরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, দারুচিনি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়।

মসলার এই বাড়তি দাম প্রসঙ্গে বিক্রেতারা জানান, গত এক মাস ধরেই মসলার পাইকারি বাজার বাড়তি। পাইকারি বাজারে বাড়তি দাম হওয়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। তবে চলতি মসলার বাজার বেশ ভালো অবস্থানে আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অন্যদিকে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দেশি ও কক মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। আর লাল লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি কক মুরগি প্রতিপিস ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। আর প্রতি পিস দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। তবে ব্রয়লার মুরগি আগের সপ্তাহের মতো ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজার ভেদে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি।

অন্যদিকে বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, বাজারে এখন বেশির ভাগ সবজির দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর কমেছে কাঁচামরিচের ঝাঁঝও। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। গত সপ্তাহে যার দাম ছিল ২০০ টাকার ওপরে। বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙা, পেঁপে, কচুরলতি ৪০ টাকা, করলা, উস্তা, বেগুন,কাঁকরোল, বরবটি ৫০ টাকা, লাউ আকার ভেদে প্রতিপিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি পিস ২০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আর প্রতি আটি কলমিশাক,লালশাক, মুলাশাক ২৫ টাকা, লাউশাক , পুঁইশাক ৩০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া মাছের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। খুচরা বাজারে তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি, নলা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, টেংরা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, বাইলা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিতল বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ও শিং ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মুদিপণ্যের দাম অপরিবর্তিত আছে। বাজারে মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫২ টাকা,নাজির শাইল চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, বিআর-২৮ নম্বর ৩৮ টাকা, স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

আর পোলাউর চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, চিনি ৫২ টাকা, খেসারির ডাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, মসুর ১০০ থেকে ১১০ টাকা, বুটের ডাল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, খোলা আটা ২৬ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা, খোলা ময়দা ২৮ টাকা, লবণ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ছোলা ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড