• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা : বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমল ১ দশমিক ৭ শতাংশ

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

৩১ জুলাই ২০১৯, ১৪:১০
মুদ্রানীতি
নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা (ছবি: সংগৃহীত)

চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ধরে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতিতে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতের নতুন এই ঋণ প্রবাহ ধরা হয়েছে। এ সময় সরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ২৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে গভর্নর ফজলে কবির এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। প্রথমার্ধের নতুন এ মুদ্রানীতিকে তিনি কর্মসংস্থানমুখী প্রবৃদ্ধি সহায়ক বলে দাবি করেন।

তিনি জানান, আমাদের মুদ্রানীতি ঘোষণাপত্র অর্থবছরের দুই অর্ধের জন্য দুইবারের বদলে অর্থবছরের শুরুতে সমগ্র বছরের জন্য একবার ঘোষণা করা হবে বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মূল্যস্ফীতি ৫.৫০ শতাংশ পরিমিত রেখে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত ঋণ প্রশাসনের লক্ষ্যে ঘোষিত মুদ্রানীতি আগের মত সতর্কভাবে সঙ্কুলানমুখী রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান মতে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে প্রথম ছয় মাসের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে সেখান থেকে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক আশা নিয়ে ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিল। এটি চলতি মুদ্রানীতির ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫ শতাংশ কম। তবে চলতি ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মুদ্রানীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ডেপুটি গভর্নর এস এম মুনিরুজ্জামান, পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা আল্লাহ মালিক কাজেমী, আহমেদ জামাল, ব্যাংকিং রিফর্ম অ্যাডভাইজার এস. কে. সুর চৌধুরী, বিআইএফইউ-এর প্রধান আবু হেনা মো. রাজি হাসান, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মো. আখতারুজ্জামানসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি বছর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে দুইবার এই মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে। এ মুদ্রানীতি ছয় মাস পর পর একটি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই মাসে এবং অন্যটি জানুয়ারি মাসে প্রণয়ন হয়।

একটি দেশের মুদ্রানীতি দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই মুদ্রানীতির মাধ্যমে পরবর্তী ছয় মাসে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রার সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করতে মুদ্রানীতি ঘোষণা করে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে জুলাই থেকে মে পর্যন্ত সরকারের ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯.১৭ শতাংশ। আর সরকারি খাতে জুন পর্যন্ত ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০.৯০ শতাংশ। আগের বছরের মে মাসের তুলনায় চলতি বছরের মে মাসে সরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৭.৪৪ শতাংশ।

ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত তারল্য না থাকা এবং অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার কারণেই বেসরকারি বিনিয়োগে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়া ঋণ আমানত অনুপাতের (এডিআর) নতুন সীমায় নামিয়ে আনারও চাপ রয়েছে।

অন্য দিকে গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। অথচ ডিসেম্বর (২০১৮) শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ছিল ৯৩ হাজর ৯১১ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, মোট বিতরণ করা ঋণের মধ্যে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশই খেলাপি ঋণ, আগের প্রান্তিকে ছিল বিতরণের ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড