• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নানা জটিলতায় এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রেমিটেন্সের প্রণোদনা

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

৩১ জুলাই ২০১৯, ১১:০০
রেমিটেন্স
(ছবি: সংগৃহীত)

বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে এবং হুন্ডি ব্যবসা নিরুৎসাহিত করতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় ২ শতাংশ প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু ঘোষণা দিলেও এই প্রণোদনা কারা, কীভাবে পাবেন, তা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে, নীতি নির্ধারকরা প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে একটি নীতিমালা করছে। এই নীতিমালা চূড়ান্ত হলে প্রণোদনা দেওয়া শুরু হবে। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত করতে কতদিন লাগবে, তা এখনো নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি নীতি নির্ধারকরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনার কথা থাকলেও কোন ফরম্যাটে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত করা যায়নি। প্রবাসী পরিবারের ব্যাংক হিসাবে নাকি অন্য কোনোভাবে এই টাকা দেওয়া হবে, তা চূড়ান্ত করতে অনেক কিছু পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে কথা বলছি। তবে বলার মতো এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, পৃথিবীর মধ্যে শুধু পাকিস্তানই কেবল প্রবাসীদের রেমিটেন্সের ওপর প্রণোদনা দিচ্ছে। কিন্তু দেশটির এই প্রণোদনা দেওয়ার অভিজ্ঞতা ভালো না। প্রণোদনা দিতে গিয়ে পাকিস্তান সরকারকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এমনকি প্রণোদনার আশায় দেশের টাকা হুন্ডির মাধ্যমে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশেও পাঠানো হচ্ছে। পরে সে টাকা পুনরায় ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে এনে অনেকেই প্রণোদনা নিচ্ছে। তাই প্রণোদনা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকেও যাতে এমন কোনো সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, সে দিকে নজর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, এটা একটা জটিল প্রক্রিয়া। এই সুযোগের অপব্যবহারও হতে পারে। প্রণোদনার আশায় অনেকের বেতন ৫০ হাজার টাকা হলেও দেখা যাবে সে ২ লাখ করে টাকা পাঠাচ্ছেন। সুতরাং বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হবে। প্রণোদনার টাকা কীভাবে দেওয়া হবে এবং প্রকৃত প্রবাসীদের মাঝে এই টাকা সঠিকভাবে পৌঁছানো কঠিন। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নীতিমালা করলেও তা বাস্তবায়ন করতে কয়েক মাস লেগে যাবে।

অন্য দিকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে রেমিটেন্সের ওপর দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে নীতিমালা না হওয়ায় সরকার এটি কার্যকর করতে পারেনি। আমাদের সিস্টেম আপডেট করতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে।’

চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে যারা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন তারা প্রত্যেককে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা পাবেন। এটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। এক্ষেত্রে কোনো ট্যাক্স বা সার্ভিস চার্জ কাটা হবে না। কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা রেমিটেন্স পাঠালে ১০২ টাকা পাবেন বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম দেশের ইতিহাসে রেমিটেন্সের ওপর প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এ জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে। তাদের পাঠানো রেমিটেন্স জিডিপিতে অবদান রেখেছে ১২ শতাংশের বেশি।

বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানোর শীর্ষ ১০টি দেশ হলো- সৌদি আরব, আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ওমান, যুক্তরাজ্য, কাতার, ইতালি ও বাহরাইন।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড