রাজধানীর কাঁচাবাজারে বন্যার প্রভাব: কাঁচা মরিচ ও বেগুনের দামে আগুন

বন্যার প্রভাবে হুট করেই রাজধানীর কাঁচাবাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ,পাকা টমেটো,গাজর,বেগুন,শসাসহ সব ধরনের সবজির দাম। তবে বাজারে তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে পেঁয়াজ।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে শনিবার (২৭ জুলাই) এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,বন্যা ও টানা বৃষ্টির কারণে সব ধরনের সবজির খেত নষ্ট হয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মরিচের। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে কাঁচ মরিচ এখন আমদানি করতে হচ্ছে।এজন্য কাঁচা মরিচের দাম সব থেকে বেশি বেড়েছে। পাশাপাশি দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

কারওয়ান ঘুরে বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। খিলগাঁও তালতলা বাজারে কাঁচা মরিচের পোয়া ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। সে হিসাবে কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা।

ব্যবসায়ী খায়রুল হোসেন বলেন, বন্যার কারণে এবার মরিচের খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাজারে এখন যে মরিচ পাওয়া যাচ্ছে তার বেশিরভাগই আমদানি করা।আমদানি করা এসব মরিচ থেকে দেশি মরিচের মান অনেক ভালো। কিন্তু দেশি মরিচের ঘাটতি থাকায় দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।

মরিচের পাশাপাশি বাড়তি দামে পাকা টমেটো, গাজর, শসা, বেগুনসহ সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে।গত কয়েক সপ্তাহের মতো টমেটো বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।

পাকা টমেটো বাজারভেদে ১২০-১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।আর গাজর ৮০-১০০ টাকা এবং শসা ৬০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এ তিনটি পণ্য এমন দামে বিক্রি হচ্ছে।

বন্যার প্রভাবে সবজির মধ্যে সব থেকে বেশি বেড়েছে বেগুনের দাম। দুই সপ্তাহ ব্যবধানে বেগুনের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০-৮০ টাকা।এর আগের সপ্তাহে বেগুনের দাম ছিল ৩০-৪০ টাকা। বেগুনের এমন দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েকদিনের বন্যা ও বৃষ্টিতে বেগুন খেতে পানি জমে তা নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্যই বাড়তি দামে বেগুন বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে করলা কেজিতে ৭০-৮০ টাকা; ঝিঙ্গা, ঢেঁড়স, উসি ও ধুন্দুল ৫০-৭০ টাকা, ককরোল ৪০-৫০ টাকা এবং পটল ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।গত এক সপ্তাহ ধরেই এগুলো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

আর আগের সপ্তাহের মতো একই দামে পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৭০ টাকা কেজি, কচুর লতি ৫০-৬০ টাকা এবং লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, বন্যার কারণে গত ১০-১৫ দিনে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বাজারে নতুন সবজি না আসা পর্যন্ত এবার দাম কমার খুব একটা সম্ভাবনা নেই।

তবে বন্যার প্রভাব পড়েনি পেঁয়াজের ওপর। গত সপ্তাহের মত ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়ছে ৩২-৩৪ টাকা। আর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা।

অন্যদিকে বয়লার মুরগি ১৩৫-১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি কক এবং লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে। আর বাজার ভেদে গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৫৭০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮৫০ টাকা।

ওডি/টিএফ