• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কত টাকার মালিক বাংলাদেশ?

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

১৩ জুলাই ২০১৯, ১৬:৩৯
টাকা
(ছবি: সংগৃহীত)

দেশে সবসময়ই টাকা পয়সার লেনদেন চলতে থাকে। এক হিসাব মতে, দেশের ব্যাংকগুলো মে মাস পর্যন্ত ১১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। যেখানে শুধু বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারাই ১০ লাখ ৯১৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। আর খেলাপি ঋণ আছে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। এছাড়া সরকারও ব্যাংক থেকে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রেখেছে। শুধু তাই নয়, ব্যাংকগুলোতে (এপ্রিল পর্যন্ত) গ্রাহকদের আমানত রাখা আছে ১০ লাখ ২৬ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা।

দেশে যখন এতো টাকার আনাগোনা, তাহলে প্রশ্ন মনে জাগতেই পারে, দেশে এখন মোট টাকা কত আছে?

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যমানের কাগজে নোট ও ধাতব মুদ্রা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচশ ও এক হাজার টাকার কাগজে নোটই প্রায় ৯০ শতাংশ। আর বাকিগুলো ১০০ টাকা, ৫০ টাকা, ২০ টাকা ও ১০ টাকার কাগজে নোট। তাছাড়া পাঁচ টাকা, দুই টাকা ও এক টাকার কাগজে নোট ও ধাতব মুদ্রাও এদের মধ্যে রয়েছে। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে আরও আছে ৫০ পয়সা, ২৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ৫ পয়সা ও ১ পয়সার মুদ্রা।

এগুলোকে বলা হয় ‘মানি’ বা ‘রিজার্ভ মানি’ যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ব্যাংক মূলত এই রিজার্ভ মানি বা মানি সাপ্লাই নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ‘মূল্যস্ফীতি’ নিয়ন্ত্রণ করে।

মূলত এই ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা থেকেই দেশের সকল লেনদেন চলছে। যেমন- এই টাকা থেকেই ব্যাংকগুলো ঋণ দিচ্ছে, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন, গার্মেন্টস ব্যবসা চলছে, স্বর্ণের ব্যবসা হচ্ছে, ব্যাংক ব্যবসা চলছে। শুধু তাই নয়, এই টাকা থেকেই সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন বোনাস, শিল্পকারখানা চলছে। মুদি দোকান চলছে, আমদানি- রপ্তানি হচ্ছে, মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা টাকা ছেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, এখন ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা থেকেই ১০ লাখ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কেউ ব্যাংকে ১০০ টাকা জমা রাখলে ব্যাংক ওই ১০০ টাকা থেকে ১০ টাকা রেখে বাকি ৯০ টাকা আরেকজনের কাছে ঋণ দিচ্ছে। আবার যিনি ৯০ টাকা ঋণ নিলেন তিনিও কিছু টাকা তুলে অথবা ৯০ টাকাই অন্য ব্যাংকে রাখছেন। সেই ব্যাংক আবার ৮ টাকা জমা রেখে বাকি টাকা আরেকজন গ্রাহককে ঋণ দিচ্ছে। এভাবে ১০০ টাকা হাত বদল ও ব্যাংক বদলের মধ্য দিয়ে এক হাজার টাকায় পরিণত হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই রিজার্ভ ‘মানি’কে সাধারণত দু’ভাগে ভাগ করেছে- ‘ন্যারো মানি’ এবং ‘ব্রড মানি’। গত মে মাস পর্যন্ত ব্রড মানির পরিমাণ এক কোটি ২০ লাখ ৫১ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা আছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে।

সাধারণত মানুষের কাছে যে কারেন্সি থাকে তাকে ‘মুদ্রা’ বলা হয়। এই টাকা দিয়েই প্রতিদিনের খরচ প্রয়োজনীয় লেনদেন করা হয়। এছাড়া ব্যাংকে জমানো টাকাকে ব্যাংকাররা ‘ডিপোজিট’ বা আমানত বলে থাকেন, যাকেও মুদ্রা বলা হয়। এই মুদ্রা আবার দুই ধরনের। যেখানে ১০ থেকে এক হাজার টাকার নোটকে ব্যাংক কাগজে মুদ্রা এবং ১ পয়সা থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত নোট ও ধাতব মুদ্রাকে সরকারি মুদ্রা বলে থাকে।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড