অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী কোনো কোম্পানি স্টক ডিভিডেন্টের ওপর ১৫ শতাংশ করের প্রস্তাবনার সম্পূর্ণ অব্যাহতি চেয়েছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি (বিসিআই)।
রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে শনিবার (২২ জুন) দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ এ দাবি উত্থাপন করে বলেন, দেশে এখনো ব্যাংকখাতে সঙ্কট চলছে। সুদহারের ঋণ এক অঙ্কে দেওয়ার কথা থাকলেও তা অনেক বেশি। অথচ এক অঙ্ক সুদহারের কথা শুনে অনেক বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করেছেন। আর এবার প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী সুপারিশ করেন, কোনো কোম্পানি স্টক ডিভিডেন্ট দিলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে উক্ত স্টক ডিভিডেন্টের ওপর ১৫ শতাংশ কর দেওয়ার বিধান করার। আমরা এই প্রস্তাব সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চাই। আমরা মনে করি, এর ফলে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।আর বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
তিনি আরও বলেন, ভ্যাট আইন সংশোধন করে সব ধরনের আমদানি পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে আগাম কর আরোপ করা হয়েছে। এতে শিল্প স্থাপন ও উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। ফলে স্থানীয় শিল্পে উৎপাদিত পণ্যের দাম অনেক বেড়ে যাবে এবং বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সক্ষম হারাবে। তাই শিল্প উন্নয়নের স্বার্থে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে প্রস্তাবিত আগাম কর প্রত্যাহারসহ মূসক আইনের ৩১ ধারা সংশোধনের অনুরোধ জানাই।
প্রস্তাবিত বাজেটে সুতার ওপর ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর ধার্য করা হয়েছে। এর ফলে স্পিনিং মিলগুলো অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে বলে জানান এই সভাপতি।
শুধু তাই নয়, বাজেট প্রস্তাবনায় ওষুধ ও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের অনুকূলে বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে ২ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর ধার্য করারও দাবি জানান তিনি।
ওডি/টিএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড