চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের আয় ৩৪৯০ কোটি টাকা

গ্রামীণফোন হাউজে বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ৩৪৯০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। আর প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে ১৩ লাখ গ্রাহক যোগ দিয়েছে।এটি ২০১৮ সালের শেষ তিন মাসের (অক্টোবর- ডিসেম্বর) তুলনায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। আর প্রথম প্রান্তিকে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ১১ লাখ বেড়েছে। অপারেটরটির মোট গ্রাহকের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি এবং সিএফও কার্ল এরিক ব্রোতেন সভায় বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলেন।

মাইকেল ফোলি বলেন, নিয়ন্ত্রণমূলক কিছু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও প্রথম প্রান্তিকে আমরা বেশ ভালো ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেছি। বাজার ব্যবস্থায় আমাদের শক্তিশালী অবস্থান বিদ্যমান এবং আমরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফোরজি গ্রাহক নিতে পেরেছি। প্রথম প্রান্তিকে ভয়েস এবং ইন্টারনেট থেকেও ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় আমাদের নিরলস চেষ্টা সবসময়ই অব্যাহত থাকবে।

প্রথম প্রান্তিকে ২৫দশমিক ৬ শতাংশ মার্জিন নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মোট লাভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৯০ কোটি টাকা। আর প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬১ টাকা।

গ্রামীণফোনের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন, প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ও মার্জিন অর্জন করেছে। গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা দিতে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে আমাদের বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবো। ভবিষ্যতে গ্রামীণফোনের লাভজনক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আমরা আশাবাদী।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে গ্রামীণফোন ৪২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ সময়ে গ্রামীণফোন দেশের বিভিন্ন স্থানে ৯২৬টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন করছে। এখন গ্রামীণফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা ১৫ হাজার ৯৩৯টি।

এছাড়া ভ্যাট,কর, ফোরজির লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম ফি বাবদ প্রতিষ্ঠানটি ২০৩০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় একই সময়ে অর্জিত রাজস্বের ৫৮ দশমিক ১ শতাংশ।

এর আগে মঙ্গলবার গ্রামীণফোনের ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৮ সালের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৮০ শতাংশ (১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশসহ) লভ্যাংশ অনুমোদন দিয়েছে।

ওডি/টিএফ