কাজু বাদামের ভালো দামে লাভবান চাষিরা, চাষ বাড়ার সম্ভাবনা

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় বছর দশেক ধরে অবহেলিত কাজু বাদামের হঠাৎ চড়া দাম ওঠায় নড়েচড়ে বসেছে চাষিরা। এ বছর কাজু বাদামের বাম্পার ফলন না হলেও আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি দাম হওয়ায় বেশ সন্তুষ্ট কাজু বাদাম চাষিরা। গত বছর দাম ওঠে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা, কিন্তু এবার কাজু বাদামের দাম ওঠানামা করছে ৪ হাজার ৫শত হতে ৬ হাজার টাকার মধ্যে।

স্থানীয় কাজু বাদাম চাষিরা জানিয়েছেন, শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেটের হাত না থাকলে এ বছর কাজু বাদামের দাম ৮ হাজার টাকায় ওঠতো। কাজু বাদামের ব্যবসা করে মধ্য স্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরাও খুশিতে রয়েছেন। কাজু বাদামের চড়া দাম এবং চাষ বেশ ঝামেলাহীন হওয়ায় এর চাষাবাদ বেড়ে যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া এ ফসলের চাষ বাড়াতে সরকার ইতোমধ্যেই তিন পার্বত্য জেলায় প্রকল্প প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

রনিন পাড়ার কাজু বাদাম চাষি লিয়ান চুং বম জানিয়েছেন, উপজেলার বটতলী, আমতলী, পলিতং, ময়ূর পাড়ার বাসিন্দারা কয়েক দশক ধরে কাজু বাদাম চাষ করে আসছেন। কোন রকমের প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি সহায়তা ছাড়াই পাহাড়ি ঢালু জমিতে তারা এ ফসলের চাষাবাদ করে আসছে, উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে চাষিরা সরকারি কোনো প্রণোদনা কিংবা উৎসাহ পাননি।

কাজু বাদামের বাম্পার ফলন

বেথেল পাড়ার চাষি লাল রাম বম জানিয়েছেন, কাজু বাদামের চাহিদা সারা পৃথিবী জুড়ে ব্যাপক হলেও সম্ভাবনাময় এ খাতটি দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলিতভাবে পড়ে রয়েছে। অগ্রাধিকার প্রাপ্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত করে সহজ শর্তে ঋণ, প্রশিক্ষণ, তথ্য সহায়তা এবং প্রক্রিয়াজাতকরন কারখানা স্থাপন করলে দেশের কয়েক লাখ লোকের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া কাজু বাদাম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত।

রুমা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক অধিকারকে বলেন, রুমা উপজেলায় ২০০ হেক্টর জমিতে কাজু বাদাম চাষাবাদ হয়, চারটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ পরিবার কাজু বাদাম চাষের সাথে সম্পৃক্ত। চলতি বছর হেক্টর প্রতি ২.৫ মেট্রিক টন করে মোট ৫শত মেট্রিক টন কাজু বাদাম উৎপাদিত হতে পারে।

ওডি/আরবি