• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দাম বেড়েছে সবজির, অপরিবর্তিত মাছ-ডিম

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:২১
বাজার
বাজার (ছবি : সংগৃহীত)

সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে। তবে ক্যাপসিকাম, গাজর, চিচিঙ্গা, লাউ ও আলুর দাম কিছুটা নিম্নমুখী। মাছ-ডিমের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও সবধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি মুরগি ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার, কাঁঠালবাগান কাঁচা বাজার, গ্রীণ রোড, হাতিরপুল বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম বাড়লেও বেশ কয়েক প্রকার সবজির দাম কমেছে। কেজিতে ৩০ টাকা কমে ক্যাপসিকাম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, কেজিতে ২০ টাকা কমে চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কেজিতে ৫ টাকা কমে আলু ২০ টাকা এবং লাউ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, উস্তা ১২০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, কালো শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, সাদা শিম ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং আকারভেদে প্রতিপিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ১০ টাকা বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির পাশাপাশি দাম বেড়েছে শাকেরও। বাজারে প্রতিআঁটি লাল শাক ১২ থেকে ১৫ টাকা, কচু শাক ৮ থেকে ১০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে সবধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি লেয়ার ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, সোনালি ২৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২০০ টাকা ও বয়লার ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য মাংসের দাম অপরিবর্তিত আছে। গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাসি ৭৮০ টাকা ও বকরি ৭২০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

এ দিকে মাছের বাজারে ইলিশের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় নিম্নমুখী দর রয়েছে। ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা ও ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছোট ইলিশ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, আকারভেদে রুই ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাচকি ৩০০ টাকা কেজি, শিং ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৪০০ থেকে ৯০০ টাকা, মলা ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, তাজা ছোট পুঁটি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে খোলা লাল সয়াবিন তেল ৯৫ টাকা লিটার, খোলা সাদা সয়াবিন তেল ৯০ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে সরিষার তেল যা ২০০ টাকা প্রতিলিটার বিক্রি হচ্ছে। আর চিনিগুঁড়া চাল ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ২৫০ টাকা, নতুন মিনিকেট ২ হাজার ৪৫০ টাকা, পুরনো মিনিকেট ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫৫০ টাকা ও বিভিন্ন প্রকার নাজির শাইল চাল প্রতিবস্তা ২ হাজার ২৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন : আমদানি হচ্ছে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল

এসব বাজারে ৪ হাজার ৬০০ থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাক দরে প্রতিকেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে। অথচ কয়েক মাস আগে ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা দরে এলাচ বিক্রি হতো। এ দিকে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরের জয়ত্রী ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া জায়ফলের দাম দ্বিগুণ বেড়ে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ৪০০ থেকে ৪৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো।

ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম নিয়ে রয়েছে ভিন্নমত। বিক্রেতারা বলছেন, অনেক সবজির মৌসুম শেষ হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। আর যেসব সবজির মৌসুম তাদের দাম কমেছে।

কিন্তু ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, দাম বাড়ার ক্ষেত্রে সবজির মৌসুম বড় ইস্যু হতে পারে না। বর্তমানে বাজারে কোনো সবজির ঘাটতি নেই, তবুও সবজির দাম বেশি।

ওডি/এওয়াইআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড