• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অবৈধ সোনা থেকে মিলবে ৪০০ কোটি টাকা!

  অধিকার ডেস্ক

২০ জুন ২০১৯, ১২:১৮
সোনার গহনা
সোনার গহনা (ছবি : সংগৃহীত)

দেশের ১৫ হাজার মূসক নিবন্ধিত সোনা ব্যবসায়ীর কাছে থাকা সোনা বৈধ করার সুযোগ দিতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

গচ্ছিত সোনা প্রতি ভরিতে এক হাজার টাকা কর দিয়ে বৈধ করতে পারবেন। আগামী ২৩ থেকে ২৫ জুন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে এবং ২৪ ও ২৫ জুন বাকি বিভাগীয় শহরে এ সুযোগ দেওয়া হবে।

ধারণা করা হচ্ছে এ তিন দিনে (২৩-২৫ জুন) সোনা কর খাতে সরকারের আয় ৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে হিসাব করেছে এনবিআর।

আগামী ১ জুলাই থেকে দোকানে থাকা সোনার উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে কর পরিশোধের কাগজ দেখাতে হবে। কর পরিশোধ করা না হলে তা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।

সোনা বৈধ করার ব্যাপারে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সোনার ব্যবসা দেশের অর্থনীতির জন্য সম্ভাবনাময় খাত। যুগ যুগ থেকে এ ব্যবসা চলে আসছে। আইনের মধ্যে থেকে সোনা ব্যবসা উৎসাহিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের কাছে এ যাবৎ গচ্ছিত থাকা সোনা প্রতি ভরির জন্য এক হাজার টাকা কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট স্থানে সোনা ব্যবসায়ীরা এসে এনবিআর কর্মকর্তাদের কাছে হিসাব করে কর দিয়ে যাবে।

এদিকে সরকারের নেওয়া এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের প্রকৃত সোনা ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবে জানিয়ে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ সভাপতি দিলীপ কুমার আগরওয়াল বলেন, ‘চলতি মাসে এনবিআর থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে সোনা ব্যবসায়ীদের কাছে গচ্ছিত সোনা ৩০ জুনের মধ্যে বৈধ করার সুযোগ দিয়েছে সরকার। কর দিলে তা বৈধ বলে বিবেচিত হবে। ভবিষ্যতে এসব সোনা নিয়ে সরকারি কোনো সংস্থা প্রশ্ন তুলবে না। এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশের প্রকৃত সোনা ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবে। আমরা আশা করছি ভ্যাট নিবন্ধিত ১৫ হাজার সোনা ব্যবসায়ী সোনায় কর দিলে সরকারের রাজস্ব আদায় ৪০০ কোটি টাকার বেশি হবে।’

এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, নতুন অর্থবছর থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খুলে প্রতি ভরিতে দুই হাজার টাকা রাজস্ব পরিশোধ করে প্রয়োজনমতো সোনা আমদানি করা যাবে। ডায়মন্ডের ক্ষেত্রেও একই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এনবিআর সূত্র জানায়, দেশে দৈনিক ১০ কোটি টাকার সোনার বাজার রয়েছে। অথচ গত পাঁচ/ সাত বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি নিয়ে এলসি খুলে এক তোলা সোনা আমদানি করা হয়নি। চোরাচালানে আনা সোনায় নির্ভর করে দেশে সোনা ব্যবসা চলছে। একই সঙ্গে ব্যাগেজ রুলে আনা সোনাও স্থানীয় বাজারের চাহিদার কিছু অংশ পূরণ করছে। সোনার মতো সম্ভাবনাময় খাতে রমরমা ব্যবসা হলেও সরকারি কোষাগারে রাজস্ব হিসেবে জমা পড়ছে নামমাত্র কিছু। সরকার সোনার ব্যবসাকে আইনি কাঠামোয় আনতে এসব উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে সোনা আমদানি নীতি করেছে। নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের মধ্যে ব্যবহৃত সোনা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হলো। দেশে মোট সোনার পণ্য তৈরিতে প্রায় ৪০ শতাংশ পুরনো সোনা ব্যবহার করা হয়। বাকি ৬০ শতাংশ তৈরি হয় নতুন সোনায়।

এনবিআরের হিসাবে, ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খুলে হিসাব মতো রাজস্ব পরিশোধে বৈধভাবে সোনা আমদানি করে ব্যবসা করলে সরকারি কোষাগারে বছরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা জমা হওয়ার কথা। সোনা আমদানি শুল্ক কমিয়ে ব্যবসায়ীদের বৈধ পথে আমদানিতে উৎসাহিত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতি ভরি সোনার আমদানি শুল্ক তিন হাজার টাকা থেকে কমিয়ে দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ওডি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড