• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৪০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সুবর্ণচরের বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে এখন সূর্যমুখীর হাসি

  নোয়াখালী প্রতিনিধি

০৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:০৭
নোয়াখালী
জমিতে বাড়ছে সূর্যমুখীর চাষ

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের লবণাক্ত জমিতে বাড়ছে সূর্যমুখীর চাষ। এতে সুবর্ণচর উপজেলার চর আমান উল্যাহ, মোহাম্মদপুর, পশ্চিম চরবাটা, চর জব্বার, চর জুবলী ও চর ওয়াপদাসহ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বিস্তৃত মাঠ জুড়ে এখন পরিপক্ব সোনালী সূর্যমুখী ফুলের সমারোহ।

কিছুদিনের মধ্যেই এ ফসল কাটা শুরু হবে। এতে স্বল্প খরচে বাম্পার ফলনে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। মূলত লবণ সহিষ্ণু এ ভোজ্য ফসল আবাদে দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। কৃষি বিভাগ বলছে, এতে অনাবাদী জমির পরিমাণ কমার পাশাপাশি পূরণ হবে স্থানীয় সূর্যমুখী তেলের চাহিদা।

মাঠের পর মাঠ ছেয়ে আছে হলুদের আভায়। যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই হলুদের ছড়াছড়ি। চোখ জুড়ানো মনোমুগ্ধকর এক অপরূপ সৌন্দর্য। রাস্তার দুপাশের মাঠের দিকে তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যায় ভোজ্য ফসল সূর্যমুখীর বাহারি শোভায়।

উপজেলার ৬ ইউনিয়নের সূর্যমুখী ফুলের চাষ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মৌসুমে ২৬৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর উৎপাদন হবে বলে মনে করেন সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। এই জেলায় গত কয়েক বছরে সূর্যমুখীর চাষ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেলেও চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় শত হেক্টরের বেশি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে।

চাষিদের এই চাষে আকৃষ্ট করতে এসব ক্ষেতে গ্লোব এগ্রো. বিনা মূল্যে জমি চাষ ও বীজ সরবরাহ করছে এবং চাষিদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফুলের বীজ সংগ্রহ, রোদে শুকানো এবং তেল তৈরির কলাকৌশল হাতেনাতে শিখিয়ে দিচ্ছে।

অন্য দিকে তাদের তথ্য মতে তাদের উদ্যোগে সূর্যমুখী চাষের জন্য ‘অস্ট্রেলিয়ান এইডের’ সহায়তায় ‘কৃষি এবং খাদ্য নিরাপত্তা প্রোগ্রামের’ আওতায় এ বছর কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর বেসরকারি সংস্থা গ্লোবের সার্বিক সহযোগিতায় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য ও পরামর্শে বাম্পার ফলন পাবেন কৃষকরা।

সূর্যমুখী চাষের ব্যাপারে গ্লোবের কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান দৈনিক অধিকারকে বলেন, তারা কৃষকদের জমি চাষ থেকে শুরু করে ফসল কাটা পর্যন্ত কৃষকদের সঙ্গে থাকছেন এবং তাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতার পাশাপাশি পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করছেন।

তিনি জানান, গ্লোবের এ কর্মসূচির আওতায় সুবর্ণচর উপজেলায় সূর্যমুখী চাষে তাদের পাশাপাশি অর্ধশত চাষি সূর্যমুখী চাষের সঙ্গে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, তারা বিভিন্ন সময় কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছেন।

চাষিরা জানান, স্থানীয় গ্লোবের পরামর্শে দীর্ঘদিন ধরে পতিত থাকা জমিতে গতবছরই প্রথম সূর্যমুখীর চাষ করে গ্লোব কৃষি খামার। লবণাক্ত জমিতে, অল্প পরিশ্রম ও খরচে ভালো ফলন পাওয়ায়, এতে সূর্যমুখী চাষের ব্যাপারে আগ্রহ বেড়েছে তাদের অনেকের। কিন্তু বীজ বপনের কিছুদিনের মধ্যে তারা নানা পানি সংকটসহ ফসলের বিভিন্ন পোকার আক্রমণের শিকার হন। কোনো কৃষি কর্মকর্তার দেখা না পেয়ে নানাভাবে সার কীটনাশক ব্যাবহার করে প্রতারিত হচ্ছেন বলেও দাবি করেন কৃষকরা। তবে গ্লোবের সহযোগিতার কথা বারবারই উঠে আসে প্রতিটি কৃষকের মুখে ।

রবি মৌসুমে চরের পতিত জমিতে সূর্যমুখীর চাষ বাড়াতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে বলে জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুর রহমান এবং তিনি কৃষকদের অভিযোগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।

ওডি/আরবি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড