বাংলাদেশে মেশিনারিজ উৎপাদনে চীনের উদ্যোক্তাদের আহ্বান

চীনের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে মেশিনারিজ উৎপাদনে শিল্প কারখানা স্থাপন ও বিনিয়োগে আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ওসামা তাসীর।

২০২১ সালের মধ্যে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়াবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি ইউনান প্রদেশ মেশিনারিজ উৎপাদনে অত্যন্ত দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছে।তাই এ খাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আরও বেশি হারে বিনিয়োগ ও শিল্প কারখানা স্থাপনে আহ্বান জানান।

ডিসিসিআইয়ের সম্মেলন কক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) চীনের দ্য ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স অব ইউনান প্রভিন্সের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ইউয়ান লিনের নেতৃত্বে ১১ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ ডিসিসিআই’র সভাপতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই’র পরিচালক দ্বীন মোহাম্মদ, সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, ইঞ্জিনিয়ার মো. আল-আমিন, হোসেন এ সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে ফুল চাষ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। তাই ইউনান খাতের ব্যবসায়ীদের দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ফুল চাষের বহুমুখীকরণ এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, কৃষি ও কৃষি জাতপণ্য, পর্যটন, ফুল চাষাবাদ, ওষুধ, যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা এবং সমুদ্র অর্থনীতি প্রভৃতি খাতসমূহ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং এ খাত সমূহে চীন ও বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা যৌথ বিনিয়োগ করতে পারে।

চীন ও আসিয়ান অঞ্চলের দেশসমূহের সঙ্গে সহযোগিতা আরো বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ‘লুক ইস্ট’ নীতিমালা গ্রহণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এসময় চীনের প্রতিনিধিদলের দলনেতা ইউয়ান লিন জানান, ২০১৮ সালে ইউনান প্রদেশের মোট আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রদেশটি শুধুমাত্র মেশিনারিজ পণ্য রপ্তানি করেছে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের।

ইউনান প্রদেশে মেশিনারিজ উৎপাদনে চীনের অন্যান্য প্রদেশের মধ্যে চতুর্থ এবং চীনের উদ্যোক্তারা এ খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে আগ্রহী। পাশাপাশি ইউনান প্রদেশ প্রচুর পরিমাণে কফি, তামাক, রাবার, ফুল প্রভৃতি উৎপাদন হয়। তাই বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের এ ধরনের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ইউনানকে অগ্রাধিকার দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার হচ্ছে চীন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৪০১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে আমদানির পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৭০৬ ডলার ও রপ্তানির পরিমাণ ৬৯৪ দশমিক ৯৭ মার্কিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার।