• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হঠাৎ করেই বন্ধ কয়লা আমদানি, ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা

  অধিকার ডেস্ক    ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:১৭

কয়লা আমদানি
কয়লা আমদানি বন্ধ (ছবি: সংগৃহীত)

ভারত থেকে সিলেটের চারটি সীমান্ত দিয়ে গত ডিসেম্বরে কয়লা আমদানি শুরু হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই ২৫ দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে গেছে এই কয়লা আমদানি। ফলে লোকসানের মুখে পড়েছে আমদানিকারকরা, বেকার হয়ে পড়েছেন পাঁচ হাজার শ্রমিক।

তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) পরিতোষ ঘোষ জানান, ১৫ জানুয়ারি থেকে এই স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, সিলেট বিভাগের তামাবিল, বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী সীমান্ত দিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বিভিন্ন খনি থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার টন কয়লা আমদানি হয়ে থাকে। দেশের চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশই পূরণ করে ভারত থেকে আসা কয়লা। সরকার প্রতি টন কয়লা আমদানিতে রাজস্ব পেত প্রায় ১ হাজার ৬০০ টাকা। সরকার সে হিসেবে প্রতিদিন প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সিলেট কয়লা আমদানিকারক সমিতি সূত্রে জানা যায়, মেঘালয়ের একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের মামলার প্রেক্ষিতে ভারতের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালে কয়লা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

সে দেশের রপ্তানিকারকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উত্তোলিত কয়লা রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে আদালত। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১ জুন থেকে বন্ধ হয়ে যায় কয়লা আমদানি। একই বছরের ৪ ডিসেম্বর ভারতীয় আদালত মেঘালয়ের বিভিন্ন খনিতে উত্তোলকৃত কয়লা চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রপ্তানির অনুমতি প্রদান করে। বাংলাদেশের আমদানিকারকরা আদালতের অনুমতির পর এলসি করে ২২ ডিসেম্বর থেকে আমদানি শুরু করেন। কিন্তু গত ১৫ জানুয়ারি থেকে হঠাৎ করে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে পড়ে।

জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের ১৬ দিন আগে ভারতের উচ্চ আদালতের নির্দেশে আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।

সিলেট কয়লা আমদানিকারক সমিতির সভাপতি চন্দন সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কয়লা আমদানি করতে না পারলেও এলসির সুদ ব্যাংককে পরিশোধ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ইটভাটার মালিকের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে এখন কয়লা দিতে পারছেন না। সব মিলিয়ে আমদানিকারকরা মারাত্মক ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।’

আগামী ১৯ ফেরুয়ারি ভারতের আদালতে এই নিষেধাজ্ঞার ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে চন্দন সাহা উল্লেখ করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড