• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ই-ক্যাবের ৬ বছর পূর্তি উৎসব

ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড ‘ইকমা’ পুরস্কার পেয়েছে ‘ইভ্যালি’

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

১২ নভেম্বর ২০২০, ১৪:৫৬
ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিন
ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিনের হাতে ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড ‘ইকমা’ পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক

করোনাকালীন জনগণের দোরগোড়ায় নিত্য পণ্য, ঔষধ, জরুরী সেবা ও ই-ক্যাবের মানবসেবায় সহযোগিতার জন্য ই-ক্যাবের ১০০ সদস্য প্রতিষ্ঠানকে ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড ‘‘ইকমা’’ প্রদান করা হয়। ই-কমার্স মুভারস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে দেশীয় ই-কমার্স ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি ডট কম ডট বিডি। ফুড ডেলিভারি সেবা ইফুড এর জন্য এই সম্মাননা পুরস্কার পেলো প্রতিষ্ঠানটি। ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিনের হাতে ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড ‘ইকমা’ পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

গত ৮ নভেম্বর রবিবার ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর ৬ষ্ঠবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওইদিন বিকাল ৩টায় ঢাকাস্থ পূর্বাচল ক্লাবে অনুষ্ঠিত এই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি। ই-ক্যাবের সভাপতি জনাব শমী কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে করোনাকালীন সময়ে বিশেষ অবদানের জন্য ১২ জন ব্যক্তি ও ১০০টি সদস্য প্রতিষ্ঠানকে ই-কমার্স মুভার্স এ্যাওয়ার্ড ইকমা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৩০ টি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয় বিশেষ সম্মাননা। তুলে ধরা হয় করোনাকালীন সময়ে ই-ক্যাব ও এর সদস্য প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম। অনুষ্ঠানে ই-ক্যাবের পরবর্তী কর্মসূচী ‘‘ই-জিনিয়াস’’ হান্ট এর অ্যাপ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, করোনাকালীন সময়ে ই-ক্যাব নিত্য প্রয়োজনীয় সেবা থেকে শুরু করে জরুরী সেবা দিয়ে নগরবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী হয়েছে। সেবার মান ও আন্তরিকতার কারণে ই-কমার্সের প্রতি মানুষের আস্থা বহুগুণে বেড়ে গেছে। দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিসহ সার্বিক অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

বাণিজ্য সচিব. ড. জাফর উদ্দীন বলেন, ই-ক্যাব যখনি যে ধরনের সহযোগিতা চেয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাৎক্ষনিক-ভাবে সাড়া দিয়েছে। ই-ক্যাব তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি কর্মসূচীর যে সফল বাস্তবায়ন করেছে সেজন্য আমি ই-ক্যাব ও এর সকল সদস্যকে সাধুবাদ জানাই।

করোনাকালীন সময়ে ই-ক্যাবের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলা হয়, করোনার ৮ মাসে ই-কমার্স সেক্টরে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা, বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ডেলিভারি হচ্ছে প্রতিদিন, ৫০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে, এযাবত মোট ৫ হাজার তরুণকে দেয়া হয়েছে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, ১৬ হাজার কোটি টাকার সার্বিক ডিজিটাল লেনদেন এর মাধ্যমে ৬০ লাখ মানুষকে সেবা প্রদান করেছে ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো।

ই-ক্যাবের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে করোনাকালীন জনগণের দোরগোড়ায় নিত্য পণ্য, ঔষধ, জরুরী সেবা ও ই-ক্যাবের মানবসেবায় সহযোগিতার জন্য ই-ক্যাবের ১০০ সদস্য প্রতিষ্ঠানকে ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড ‘‘ইকমা’’ প্রদান করা হয়। আজ ৮ নভেম্বর ঢাকার পূর্বাচল ক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই এ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্রেস্ট হস্তান্তর করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন সময়ে ই-কমার্সের উত্থান ছিল চোখে পড়ার মতো। গৃহে থাকা মানুষের কাছে নিত্য পণ্য পৌঁছে দিতে যে চেষ্টা সাধনা ও পরিশ্রম ই-ক্যাব এবং এর সদস্য প্রতিষ্ঠান করেছে তা দেশের মানুষ মনে রাখবে। সরকারের সহযোগিতা নিয়ে এই বিপর্যয়কালীন সময়ে সেবা দিয়ে নিত্য পণ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের প্রবৃদ্ধি কয়েকগুণ বাড়িয়ে নিয়েছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতির জন্য এটা ছিল একটা ইতিবাচক দিক।

১০০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা ই-ক্যাবের নিউজলেটার ই-কমার্স ভিউ এর নভেম্বর সংখ্যায় প্রকাশ করেছে ই-ক্যাব। এ্যাওয়ার্ড বিষয়ে ই-ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান জরুরী পণ্যসেবা দেয়ার জন্য আমাদের কাছ থেকে অনুমতি ও স্টিকার নিয়েছে। তাদের মধ্য থেকে যারা শুধুমাত্র নিত্য পণ্য, খাবার, ঔষধ, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সামগ্রী, জরুরী সেবা ও মানবসেবা প্রকল্পে সেবা সহযোগিতা দিয়েছে তাদেরকে বাছাই করা হয়েছে। প্রায় ৩৫০টি প্রতিষ্ঠান থেকে সেরা ১০০টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়। এছাড়া আরো ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয় বিশেষ সম্মাননা।

অনুষ্ঠানে নিজের অনুভূতি জানিয়ে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, আজকের এই ইভ্যালির পেছনে আমার অনুপ্রেরণা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নিজ উদ্যোগে পদ্মাসেতুর বাস্তবায়ন আমাকে অনুপ্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছে। ইভ্যালি এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই চারটি প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। এর মধ্যে ইভ্যালির ৪০ লাখ নিবন্ধিত গ্রাহক রয়েছে এবং ২৫ হাজার বিক্রেতা রয়েছে। ইফুড নিয়ে রাসেল বলেন, ইফুড দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাদ্য সরবরাহ পরিসেবা প্রতিষ্ঠান। যেখানে প্রায় এক হাজার ৫০০ নিবন্ধিত রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এসব রেস্টুরেন্ট থেকে প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার ফুড ডেলিভারি দিয়ে থাকে ইফুড। অন্যদিকে ইবাজারেও গ্রাহকরা নিজেরাই নিজেদের পণ্য বেচা-কেনা করতে পারেন। আর ইখাতায় ব্যবসায়ীগণ তাদের দৈনন্দিন হিসাব রাখতে পারেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব, অতিরিক্ত সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড