• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নতুন সংকটের মুখে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য 

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ এপ্রিল ২০২০, ০৯:০৭
প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য
প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য (ছবি : সংগৃহীত)

করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাবে নতুন সংকটের মুখে পড়েছে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতানি। স্থানীয় নানা সমস্যা এবং প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে সুযোগ-সুবিধা কম থাকায় নানা প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে খাতটি।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ে যেখানে ৭৫০ কনটেইনার প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রফতানি করা হতো; করোনার প্রভাবে তা এখন ১৫০ এর নিচে নেমে এসেছে। কারণ একদিকে আমদানিকারক দেশগুলো ক্রয়াদেশ বাতিল করছে অন্যদিকে এ সংকটকালীন সময়ে দেশে রফতানি প্রক্রিয়া সহজ না করে নানা শর্ত দিয়ে জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে।

প্রতিযোগী দেশগুলো যেখানে তাদের রফতানি প্রক্রিয়া সহজ করছে সেখানে দেশে উৎপাদিত পণ্যের রফতানির জন্য ফাইটো স্যানিটারি সনদ (পিসি) পেতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কৃষি মন্ত্রণালয়কে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি। উল্টো নানা শর্ত জুড়ে দিচ্ছে সংস্থাগুলো। এতে রফতানি অনিশ্চয়তায় পড়েছে দেশের সম্ভাবনাময় প্রক্রিয়াজাত এ খাদ্য শিল্প।

জানা গেছে, বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ বিশ্বের ১৪০টির বেশি দেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য (প্রসেসড ফুড) রফতানি হচ্ছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত, কাতারসহ সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ইতালি, মরিশাস, ভারত, মালদ্বীপ, ব্রুনাই, দক্ষিণ আফ্রিকা, লেবানন, ফ্রান্স, ইন্ডিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, পর্তুগাল, অ্যাঙ্গোলা, সোমালিল্যান্ডসহ ৩০টির মতো দেশে প্রায় ৮০টি আইটেমের খাদ্যপণ্য রফতানি করছে। এর মধ্যে মরিচ, মসলা, মুড়ি, লজেন্স, জুস, লাচ্ছা সেমাই, বিস্কুট, কেক, নুডলস, জেলি, মাস্টার্ড অয়েলসহ বিভিন্ন বেভারেজ ও কনফেকশনারি খাদ্যপণ্য রয়েছে।

দেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রফতানিকারকরা জানান, চলমান করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩শ’ কোটি টাকার প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রফতানির আদেশ স্থগিত ও বাতিল হয়েছে। এমন সময়ও যেসব দেশ রফতানি আদেশ বহাল রেখেছে স্থানীয় নানা জটিলতার কারণে তা সঠিক সময়ে শিপমেন্ট করা যাচ্ছে না। কারণ প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রফতানি করতে কৃষি অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ফাইটো স্যানিটারি সনদ নিতে হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে এ সনদ দেয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি চট্টগ্রাম কৃষি অধিদফতরের সঙ্গনিরোধ বিভাগ এ সনদ দিতে বেশ অবহেলা করছে। আবার রফতানি পণ্যের অনুকূলে বিএসটিআই কর্তৃক ইস্যু করা হেলথ সার্টিফিকেট দাবি করে নতুন করে বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত সুরাহা হয়নি।

আরও পড়ুন : ৭৩ শতাংশ করোনা রোগী ঢাকা বিভাগের

ফাইটো সনদ জটিলতার বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের চট্টগ্রাম সঙ্গনিরোধ রোগতত্ত্ববিদ সৈয়দ মুনিরুল হক বলেন, যেসব পণ্যে বিষক্রিয়া আছে অর্থাৎ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর নয় ওই সব পণ্য রফতানিতে ফাইটো সনদ দেয়া হচ্ছে না। কারণ এর সঙ্গে বহির্বিশ্বে আমাদের সুনামের বিষয়টি জড়িত। তবে সব পণ্য নয় কিছু পণ্যে এ সমস্যা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা রফতানি পণ্যের অনুকূলে বিএসটিআইয়ের হেলথ সার্টিফিকেট চেয়েছি। যাদের পণ্য সঠিক, তাদের সনদ দেয়া হচ্ছে; কোনো সমস্যা তো হচ্ছে না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড