• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা ‘কনটেইনার জট’

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

৩০ মার্চ ২০২০, ১০:৫৭
বন্দরে কনটেইনার জট
বন্দরে কনটেইনার জট (ছবি : সংগৃহীত)

করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসায়ীদের ওপর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে পোর্ট ডেমারেজ (বন্দর ও শিপিং লাইনের ক্ষতিপূরণ)। আপৎকালীন সময়ে সরকার ঘোষিত ১০ দিনের ছুটির মধ্যে খাদ্যপণ্য ও ওষুধসামগ্রী ছাড়া বর্তমানে আর কোনো কিছু খালাস করছে না কাস্টমস।

ফলে এর বাইরে থাকা শিল্পের কাঁচামালের বিপুলসংখ্যক কনটেইনার খালাস আটকে গেছে। কিন্তু এতে করে শুধু শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যাহত হবে না, উল্টো মোটা অংকের ক্ষতিপূরণ গুনতে হবে আমদানিকারকদের।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের অনেকে জানিয়েছেন, এমনিতে করোনার প্রভাবে বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠান। সেজন্য তাদের সাফ কথা, কোনো ক্ষতিপূরণ তাদের পক্ষে দেয়া সম্ভব হবে না।

সরকার নিশ্চয় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ সময়ে বন্দর-প্রাইভেট আইসিডির সব ধরনের ডেমারেজ মওকুফ করার বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে সার্কুলার জারি করবে। এ বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘চলমান ছুটিতে সরকার বন্দর, কাস্টমসসহ জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো সীমিত আকারে খোলা রাখার কথা বলেছে। কিন্তু লোকবল স্বল্পতার কারণে বন্দর থেকে মালামাল খালাসে বিলম্ব হচ্ছে।

একদিকে এক্সপোর্ট বন্ধ, অন্যদিকে বন্দরে মালামাল পড়ে থাকায় পোর্ট ডেমারেজ দিতে হবে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা ক’দিক সামাল দেবেন। তাই সরকারকে এসব বিষয় বিবেচনায় এনে শিল্পের স্বার্থে দ্রুত সিদ্ধান্ত দিতে হবে।’

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি কনটেইনার জাহাজ থেকে নামার পর ৪ দিন ফ্রি টাইম থাকে। এরপর বিভিন্ন স্ল্যাবে (স্তর) ডেমারেজ গুনতে হয় আমদানিকারককে। ২০ ফিট কনটেইনারের ক্ষেত্রে প্রথম সপ্তাহের জন্য ৬ ডলার, দ্বিতীয় সপ্তাহের জন্য ১২ ডলার এবং তৃতীয় সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন ২৪ ডলার করে ডেমারেজ গুনতে হয়। ৪০ ফিট কনটেইনারের ক্ষেত্রে এ জরিমানা দ্বিগুণ হারে গুনতে হয়।

একইভাবে আমদানিকারককে শিপিং লাইনের ডেমারেজও গুনতে হয়। শিপিং লাইনগুলোর জরিমানার হার একেক শিপিং লাইন একেকভাবে নির্ধারণ করে থাকে। তারা ৭ দিন থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত ফ্রি টাইম দিয়ে থাকে।

এরপর বিভিন্ন স্ল্যাবে ৬ ডলার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪৮ ডলার পর্যন্ত দৈনিক কনটেইনার প্রতি জরিমানা গুনতে হয়। অর্থাৎ আমদানি পণ্য গ্রহণ করে খালি কনটেইনার তাদের (শিপিং লাইনকে) বুঝিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের শত শত কোটি টাকা এভাবে জরিমানা গুনতে হয়।

আরও পড়ুন : প্রবল স্রোতে জাহাজ থেকে সাগরে ৪৩ কনটেইনার

চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, ‘এনবিআর থেকে এই আপৎকালীন সময়ে খাদ্যপণ্য ও ওষুধসামগ্রী জরুরিভিত্তিতে খালাসের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ কারণে শিল্পের কাঁচামাল শুল্কায়ন আপাতত বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি এনবিআরকে জানানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড