নিজস্ব প্রতিবেদক
ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার কমানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা আমরা চাইনি। কিন্তু ব্যাংকিং খাতে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে (এক অঙ্কে) নামিয়ে আনতে গেলে এ সম্পর্কিত সব জায়গায় হাত দিতে হবে। তবে এ নিয়ে যেহেতু সমালোচনা হচ্ছে, তাই ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হারের বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করা হবে।
তিনি বলেন, আমি আবারও রিভিজিট করব। যদি এবার নাও পারি পরবর্তী বাজেটে করব। আমি চাই না, দেশের অসহায় গরিব মানুষ কষ্ট পাক।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে এনে ৬ শতাংশ করা হয়, যা আগে ছিল ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এরপরই বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়।
মুস্তফা কামাল বলেন, সঞ্চয়পত্র এবং ডাকঘর সঞ্চয় স্কিম সাধারণ মানুষের জন্য করা হয়েছিল। কিন্তু এগুলোতে বড় ধরনের অপব্যবহার হয়েছে। সঞ্চয়পত্রের সুদের হারও বেশি। সঞ্চয়পত্র নিয়ে দেশে কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাই এটি নিয়েও কিছু করতে পারি কি না সে বিষয়েও তিনি কথা বলেছেন।
ব্যাংকের সুদের হার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই, যেখানে ব্যাংকে টাকা রাখলে এত বেশি সুদ দেওয়া হয়। সরকারকে ভ্যাট না দিয়ে সব মুনাফা নিয়ে যাওয়ার মতো উদাহরণ খুব বেশি দেশে নেই। এ কারণে আমরা ব্যাংক খাতে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে এক জায়গায় না যেতে পারলেও অন্তত কাছাকাছি যাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, মানুষ সুদ পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। বিশ্বের কোনো দেশে এইভাবে ব্যাংকে টাকা রাখলে ইন্টারেস্ট দেওয়া হয় না, উল্টো আরও টাকা দিতে হয়। যে দেশে ব্যবসা আছে, সেই দেশে ব্যাংকে টাকা রাখে না। কিন্তু আমাদের কাছে সবাই সমান, ব্যবসায়ীদের ইফেকটিভ রেইটে টাকা দিতে হবে, এটি আমাদের কমিটমেন্ট। এটা না হলে ব্যবসা প্রসার হবে না, নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে না।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড