• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

করোনাযুদ্ধে জয় পেতে গবেষণায় সবচেয়ে এগিয়ে ‘পিকোভ্যাক’ ভ্যাকসিন

  প্রযুক্তি ডেস্ক

১২ মে ২০২০, ১০:১০
ভ্যাকসিন
করোনাযুদ্ধে জয় পেতে গবেষণায় সবচেয়ে এগিয়ে ‘পিকোভ্যাক’ ভ্যাকসিন (প্রতীকী ছবি)

সময়ের সঙ্গে মহামারি হয়ে গর্জে ওঠা করোনা ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে যেন ভেঙেচুরে যাচ্ছে আমাদের পৃথিবী। নিত্যদিন হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এমতাবস্থায় হন্যে হয়ে প্রতিষেধক আবিষ্কারের লক্ষ্যে দিন-রাত এক করছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি নতুন উদ্ভাবিত একটি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বানরের শরীরে প্রয়োগ করে সাফল্য পেয়েছে চীন। তাই দেশটির এক ভ্যাকসিন প্রস্ততকারক কোম্পানি এবার বিশ্বব্যাপী মানবদেহে পরীক্ষামূলক ব্যবহারে যেতে চায়। ভ্যাকসিনটির নাম ‘পিকোভ্যাক’। বেইজিংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেক এটি তৈরি করেছে।

কোম্পানির বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রচলিত ভাইরাসপ্রতিরোধী প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই ভ্যাকসিনটি তৈরি করা হয়েছে। কোনো প্রাণীর শরীরে এটি প্রয়োগ করলে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা ভাইরাস ধ্বংস করতে সহায়তা করে।

ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়, এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যায়ে এ গবেষণার ফল লাভের পর মানবদেহেও পিকোভ্যাকের ট্রায়াল শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। ভ্যাকসিনটি বর্তমানে গবেষণার ‘ফেজ থ্রি’, অর্থাৎ তৃতীয় ধাপে রয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য গবেষক শতাধিক ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছেন, যেগুলো গবেষণার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে।

চীনের জিংগুয়া ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল হেলথ ড্রাগ ডিসকভারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডিং জেং বলেন, ‘মূল চ্যালেঞ্জটা ফেজ থ্রি-তেই। এখানেই দেখা যাবে ইমিউন সিস্টেমে (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) কতটা কাজে দেয় ভ্যাকসিনটি।’

আরও পড়ুন : করোনার মতোই রূপ বদলে নীল থেকে লাল হয়েছে মঙ্গল!

গত মার্চের শুরুতে রিসাস ম্যাকাকিউস প্রজাতির একদল বানরের শরীরে নতুন উদ্ভাবিত পিকোভ্যাক ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করেন চীনা গবেষকরা। এর তিন সপ্তাহ পরে বানরগুলোকে করোনা ভাইরাসের সংস্পর্শে নেওয়া হয়। এক সপ্তাহ পরে দেখা যায়, যেসব বানরের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল তারা করোনায় সংক্রমিত হয়নি। আর যেসব বানরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, তাদের ফুসফুসে করোনা ভাইরাসে উপস্থিতি পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে কয়েকটির শরীরে নিউমোনিয়ার উপসর্গও দেখা দেয়।

এ সিনোভ্যাক প্রতিষ্ঠানটি এর আগে ২০০৩ সালে সার্সের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে বাজারজাত করে। ভ্যাকসিনের গবেষণা ও তৈরিতে সিনোভ্যাকের নামডাক রয়েছে। এবারের মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় তাদের প্রচেষ্টা কতটা সফল হয়, সেটাই দেখার বিষয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড