ক্রীড়া ডেস্ক
বিশ্বকাপ না জিতলে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিততে কারো ভালো লাগার কথা না। রাশিয়া বিশ্বকাপেও এই বেদনা বহন করে গোল্ডেন বলের পুরস্কার জিতেন ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদরিচ। তার একক নৈপূণ্যে বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠেছিল ক্রোয়েশিয়া। মিডফিল্ডে তিনি ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার সমস্ত আক্রমণের উৎসদাতা। উইলিয়ামসনও যেন তাই। এই বিশ্বকাপে তার ব্যাটিং দৃঢ়তায় বারবার নিউজিল্যান্ড বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়েছে।
অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৫৭৮ রানের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। দুইটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। ম্যাচের দ্বিতীয় বল থেকেও খেলতে হয়েছে তাকে। তারপরও থেমে থাকেননি। নেতৃত্বগুণে অল্প পুঁজি গড়েও নিউজিল্যান্ড লড়াই করেছে সেমিফাইনাল, ফাইনালে। কখনো দ্রুত উইকেট পতনে বিপর্যস্ত দলকে উদ্ধার করেছেন উইলিয়ামসন। ফাইনাল ম্যাচেও দলের সবচেয়ে বড় জুটি এসেছিল উইলিয়ামসন ও হেনরি নিকোলসের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় উইকেটে এ দুজন গড়েন ৭৪ রানের জুটি। সেমিফাইনালে ভারতের সঙ্গে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম বলে গাপটিল আউট হওয়ায় দ্বিতীয় বল থেকে খেলতে হয়েছে। ১৪৮ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেছিলেন কিউই অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ৮০ রানে চার উইকেট পড়ার পর সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জিতিয়েছেন। তবে ভাগ্যের কাছে হেরে বিশ্বকাপটা ছুঁতে পারেননি তিনি। ম্যাচ না হেরেও বাউন্ডারি সংখ্যার নিয়মের বলি হয়ে শিরোপা হাতছাড়া করেছে কিউইরা।
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিতে এসে উইলিয়ামসন বলেন- 'আমাদের বোলাররা ওদের পাল্টা চাপে ফেলে দিয়েছিল। শেষ বল পর্যন্ত লড়েছি আমরা। দুর্দান্ত লড়াইয়ের পরে শেষ পর্যন্ত আমাদের থেকে যেতে হলো পরাজিতদের দলেই। তবে এই ম্যাচ থেকেও অনেক ইতিবাচক শিক্ষা নিয়ে বাড়ি ফিরছি।' তিনি আরও বলেন, 'এটা খুবই লজ্জার যে, বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে চার হয়ে গেল। খেলার গতিতেই এটা হয়ে গিয়েছে। কী আর করা যাবে। তবে আশা করব, এই ঘটনা আর কোনো কোনো ম্যাচে হবে না। এইভাবে কেউ যেন আর না হারে।'
ওডি/এনএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড