ক্রীড়া ডেস্ক
২০১৫ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের সঙ্গে ১৫ রানে হেরে বিদায় নেওয়ার পর আক্রমণাত্মক ক্রিকেট দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে ইংল্যান্ড। এ চার বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফল; বিশ্বকাপের শিরোপা এখন ইংলিশদের ঘরে। রবিবার (১৪ জুলাই) বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের নাটকীয় জয়কে চার বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফল হিসাবেই দেখছেন নায়ক বেন স্টোকস।
চার বছর আগে বিশ্বকাপে অত্যন্ত অপমানজনকভাবে ছিটকে যাওয়ার পর এবারের বিশ্বকাপে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্বের এক নম্বর হয়েছে আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড। লর্ডসে স্টোকসের দুরন্ত ৮৪ রানের দৌলতে কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচটি প্রথমে টাই হয়, কেননা দুটিমই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪১ রান করে। ফলে ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ালে ফের কেরামতি দেখান স্টোকস। তিন বলে আট রান করে স্টোকস ইংল্যান্ডকে ১৫ রান করতে সাহায্য করেন, যা সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডের করা রানের সমান। কিন্তু যেহেতু ফাইনাল ম্যাচটিতে নিউজিল্যান্ডের তুলনায় বেশি বাউন্ডারি হাঁকায় ইংল্যান্ড তাই সেই হিসাবে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ওঠে তাঁদেরই হাতে।
একজন 'জাত অলরাউন্ডার' স্টোকস এই বিশ্বকাপে তা খুরে খুরে প্রমাণ করেছেন ২৮ বছর বয়সী এই ইংরেজ। দলের জয়ে মূল অবদান যেহেতু তার; উচ্ছ্বাসটাও তাহলে বেশি তার। সাংবাদিকদের স্টোকস বলেন, 'অনুভূতি প্রকাশ করার মতো শব্দ হারিয়ে গেছে। গত চার বছরে ধরে আমরা যা যা পরিশ্রম করেছি তার ফল এটা এবং আমরা এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এটা এক আশ্চর্য অনুভূতি।'
ঠিক তিন বছর আগে ইডেন গার্ডেন্সে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংলিশদের শিবিরে খলনায়ক বনে গিয়েছিলেন স্টোকস। শেষ ওভারের প্রথম চার বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের কাছে চার ছক্কা হজম করে ইংলিশদের শিরোপা জয়ের স্বপ্নভঙ্গ করেছিলেন তিনি। অথচ সেই তিনিই কিনা আজ নায়কের রূপ নিলেন। দলকে জেতালেন।
দ্বাদশ বিশ্বকাপে ১১ ইনিংসে স্টোকস দলকে হয়ে করেছেন ৪৬৫ রান। এছাড়া বল হাতে সমান ইনিংসে উইকেট পেয়েছেন ৭টি।
ওডি/এএপি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড