বিশ্বকাপ মঞ্চে বাংলাদেশের এই বিখ্যাত জয়গুলো মনে পড়ে?

সেবার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সহকারী আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। হোব অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ১৯তম ম্যাচে উইন্ডিজের মুখোমুখি হয় টাইগাররা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে মাত্র ৫৮ রানে সব কয়টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল। আট বছর পর সোমবার (১৭ জুন) টন্টনে সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নেয় সাকিব-তামিম-লিটনরা।

বৈশ্বিক ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ মঞ্চে এমন চমক আগেও দিয়েছে বাংলাদেশ। কাদের কুপোকাত করেছেন সাকিব-তামিমরা? মনে পড়ে বাংলাদেশের বিখ্যাত জয়গুলোর কথা? এক ঝলকে ফিরে দেখা যাক সেই মুহূর্তগুলি:

১৯৯৯ বিশ্বকাপ, বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান : ১৯৯৯তে প্রথম বিশ্বকাপে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবার স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে জয়ের খাতা খুলে ছিলেন আমিনুল ইসলামরা। তবে চমক তখনও বাকি ছিল। নর্থ হ্যাম্পটনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগে ব্যাট করে ২২৩ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। তবে ৪৪.৩ ওভারে মাত্র ১৬১ রানেই গুটিয়ে যান ওয়াসিম আক্রমরা। ৩ উইকেট ও ২৭ রান করে ম্যাচের সেরা হন খালেদ মামুদ।

২০০৭ বিশ্বকাপ, বাংলাদেশ বনাম ভারত : ২০০৭ এর বিশ্বকাপে ফের চমক বাংলাদেশের। এবার টাইগাররা হারালো ভারতকে। ত্রিনিদাদে রাহুল দ্রাবিড়েরা আগে ব্যাট করে তুলেছিলেন ১৯১ রান। জবাবে ৪৮.৩ ওভারে ৫ উইকেট খুইয়ে সেই রান পার করে যান তামিম-মুশফিকরা। ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন বর্তমান অধিনায়ক মাশরফি বিন মুর্তজা। ৯.৩ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন টাইগার কাপ্তান।

২০০৭ বিশ্বকাপ, বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা : বিশ্বকাপের নবম আসরে ভারতকে হারানোর পরও বাংলাদেশের স্বপ্নের দৌড় থামেনি। সুপার আটের ম্যাচে গ্রেম স্মিথের দক্ষিণ আফ্রিকাকে বধ করে টাইগাররা। ২৫১ রানের টার্গেট পেয়ে ৪৮.৪ ওভারে ১৮৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় প্রোটিয়ারা। ৮৩ বলে ৮৭ রান করে ম্যাচের সেরা হন মোহাম্মদ আশরাফুল।

২০১১ বিশ্বকাপ, বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড : বিশ্বকাপের আঙিনায় এবার বাংলাদেশের কাছে হারের পালা ছিল ইংল্যান্ডের। সালটা ছিল ২০১১। ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে প্রথমে ব্যাট করে ২২৫ রান তোলেন অ্যান্ড্রু স্ট্রসরা। এরপর ৪৯ ওভারেই ওই রান তুলে নেন সাকিব বাহিনী। ২ উইকেট হাতে রেখেই জিতে দেশের মাটিতে আনন্দের জোয়ার বইয়ে দেয় টাইগাররা। ১০০ বলে ৬০ রান করে ম্যাচের সেরা হন ইমরুল কায়েস।

২০১৫ বিশ্বকাপ, বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড : পরের বিশ্বকাপেও (২০১৫ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ) ফের ইংল্যান্ডকে হারায় বাংলাদেশ। অ্যাডিলেডে আগে ব্যাট করে ২৭৫ রান করেন মাশরাফি বাহিনী। ইংল্যান্ড ৪৮.৩ ওভারে ২৬০ রানেই ইনিংস শেষ হয়ে যায় ইয়ন মরগানদের। সে ম্যাচে ১৩৮ বলে ঝকঝকে ১০৩ রান করে সেরার সম্মান পান মাহমুউল্লাহ্ রিয়াদ।

২০১৯ বিশ্বকাপ, বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা : চলতি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে অভিযাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। ওভালে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৩০ রানে করেন টাইগাররা। জবাবে ৮ উইকেটে ৩০৯ রান করে ইনিংস শেষ করে ফ্যাফ ডুপ্লেসি বাহিনী। ৮৪ বলে ৭৫ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন সাকিব আল হাসান।

২০১৯ বিশ্বকাপ, বাংলাদেশ বনাম উইন্ডিজ : চলমান বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয় শক্তিশালী উইন্ডিজ। প্রোটিয়াদের পর সোমবার টন্টনে ক্যারিবিয়ানদের অনায়াসে হারায় টাইগাররা। ৩২১ রান করলেও সেই লক্ষ্য অতি সহজেই পূরণ করেন সাকিব-লিটনরা। ৪১.৩ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট খরচ করে বাংলাদেশ। চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শতরান (১২৪ রান) আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। সঙ্গে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরাও হন বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার।

ওডি/এসএম