ক্রীড়া ডেস্ক
ইনিংসের ১৩ ওভারে চতুর্থ বল, ফিঞ্চ ক্রিজে তখন ৩০ রানে। ওয়াহাব রিয়াজের বাউন্স বল স্লিপে ক্যাচ ছিল, কিন্তু সহজ ক্যাচটিও ধরতে পারল না আসিফ আলি। তার খেসারত দিচ্ছে পাকিস্তান। অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ নতুন করে শুরু করলেন নিজেকে। ৬টি বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ২৩তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ফিঞ্চ। অস্ট্রলিয়ার ওপেনিং জুটিতে এলো শতরান।
সমারসেটের কাউন্টি মাঠ টন্টনে টস হারে অস্ট্রেলিয়া। এবারের বিশ্বকাপে এ নিয়ে চারটি ম্যাচে টস হারল অজিরা। তবে ব্যাটিং পেয়ে বেশ সাবধানে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও ফিঞ্চ। পাওয়ার প্লেতে অজিরা স্কোরবোর্ডে জমা করে ৫৬ রান। ম্যাচে অজিদের মতো পাকিস্তানও চার পেসার নিয় খেলছে। লেগ স্পিনার শাদাব খানকে বেঞ্চে বসিয়ে বাঁহাতি পেসার শাহীন আফ্রিদি খেলছেন একাদশে। তবে শাহীনের বোলিং শুরু থেকে ছিল এলোমেলো। প্রথম দুই ওভারে ২৪ রান দেন তিনি। দ্বিতীয় স্পেলে কিছুটা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন তিনি।
পেসারদের মধ্যে মোহাম্মদ আমিরের বোলিং ছিল নজরকাড়া। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ২ মেডেনসহ ১১ রান দিয়েছেন তিনি। কাঙ্খিত ব্রেক থ্রু আনতে না পারায় স্পিনার হাফিজকে নিয়ে আসেন অধিনায়ক সরফরাজ। প্রথম ওভারে ১৫ রান দেন এ অফস্পিনার। প্রথম পঞ্চাশ রান নিতে ৫৩ বল খেলতে হয়েছে অজিদের, শতকে পরিণত করেছে তারা আরো ৪৭ বল খেলে। ওয়ার্নারও পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। ৫১ বলে ৬টি বাউন্ডারি ছিলো তাঁর ইনিংসে।
২৩তম ওভারে এসে সফলতার মুখ দেখে পাকিস্তান। আমিরের বলে ৮২ রানে আউট হন ফিঞ্চ। দ্বিতীয় স্পেলে এসে প্রথম বলে উইকেট লাভ করেন আমির। স্মিথ আউট হন ১০ রানে। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এসে ম্যাক্সওয়েল নামেন টু ডাউনে। ১০ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে তিনিও ফিরে যান ড্রেসিং রুমে। অন্যপ্রান্তে ওয়ার্নার তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৫তম সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের মাটিতে এটা প্রথম সেঞ্চুরি তার। ১০৭ রানে শাহীনের বলে আউট হন অজি ওপেনার। মাঝে ১০৩ রানে তাঁর সহজ ক্যাচ ফেলে দেন আসিফ আলি।
ওডি/এনএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড