সারাদেশ ডেস্ক
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় সাপের কামড়ে যশোরের চৌগাছা উপজেলায় তন্বী খাতুন (১৩) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত মাদ্রাসাছাত্রী তন্বী খাতুন সদর উপজেলার চান্দুটিয়া গ্রামের তবিবর রহমানের মেয়ে ও চৌগাছা কামিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
রবিবার (২০ অক্টোবর) রাতে চৌগাছা উপজেলা সদরের নিরিবিলিপাড়া এলাকায় তার মামার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তন্বীর ছোট মামা মিঠু দেওয়ান জানান, প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার রাতে লেখাপড়া শেষে মায়ের সঙ্গে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে তন্বী। পরবর্তীতে রাত ১০টার দিকে তাকে ঘুমের মধ্যেই একটি বিষধর সাপ কামড় দেয়। এ সময় ঘুমের ঘোরে সে কিছুই বুঝতে পারেনি। এমনকি পাশে তার মাও ঘুমিয়ে ছিলেন, তিনিও বুঝতে পারেননি যে মেয়েকে সাপ কামড় দিয়েছে।
এক পর্যায়ে কিছু হয়েছে বুঝতে পেরে ঘরে গিয়ে তার মামা দেখতে পান ভাগ্নির মুখ দিয়ে ফ্যানা বের হচ্ছে। এ সময় দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
এ দিক, পারিবারের লোকজন জানান, তন্বী যখন মায়ের গর্ভে ছিল তখন তার বাবা তবিবর রহমান স্ত্রী পপিকে রেখে অন্যত্র বিয়ে করেন। এই শোক সইতে না পেরে পপি খাতুন কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এরপর থেকেই পপি তার বাবার বাড়িতেই থাকতেন। এমনকি তন্বীর জন্মের পরও তার মায়ের মানসিক ভারসাম্য ফিরে না আসলে সেখানেই স্থান হয় মা-মেয়ের।
তারা বলেন, লেখাপড়ায় খুবই মনোযোগী ছিল তন্বী খাতুন। ক্লাসে কোনো অনুপস্থিতি ছিল না তার। বুঝতে শেখার পরপরই তন্বী লেখাপড়া করে মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখত। তার স্বপ্ন ছিল অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা ও সেবা করা। কিন্তু সে স্বপ্ন তার আর পূর্ণ হলো না।
এ ব্যাপারে চৌগাছা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল লতিফ বলেন, অত্যন্ত মেধাবী ও নম্র-ভদ্র ছিল তন্বী। সে কোনো ক্লাসই ফাঁকি দিত না। তার রোল নম্বর ছিল-১। মায়ের সেবা করাই তার স্বপ্ন ছিল।
এ সময় তিনি আক্ষেপ বলেন, ‘রবিবারর ক্লাস শেষে সে উপবৃত্তির ফর্ম পূরণের জন্য অফিস সহকারীর কাছে নিজের ছবি দিয়ে গিয়েছিল। কে বা জানতো সেই ছবি আজ স্মৃতি হয়ে যাবে।’
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড