• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ঘুষের টাকা না দেওয়ায় ভুক্তভোগীকে শারীরিক নির্যাতন

  নরসিংদী প্রতিনিধি

২০ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:০৫
মনোহরদী থানা
মনোহরদী থানা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

নরসিংদীর মনোহরদী থানায় বিচার চাইতে এসে পুলিশের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বিল্লাল হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে মনোহরদী থানায় এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় শনিবার (১৯ অক্টোবর) নরসিংদী পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেন মনোহরদী উপজেলার হাফিজপুর গ্রামের আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে।

লিখিত অভিযোগে বিল্লাল হোসেন জানান, আমার স্ত্রীর বড় ভাই কাউসার মিয়ার সঙ্গে তার প্রতিবেশী মজনু ও হোসেন মিয়ার জায়গাজমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। দীর্ঘদিনের এ বিরোধ মীমাংসার জন্য পরামর্শ চাইতে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় মনোহরদী থানার এসআই সোহেল রানার কাছে যায়। ওই সময় এস আই সোহেল রানা কাগজপত্র দেখে জমি দখলে নিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।

ঘটনাটি জমির মালিক কাউসার মিয়াকে জানালে তিনি ৫০ হাজার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে টাকার অঙ্ক কমিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান।

পরে আবার এসআই সোহেল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মীর সোহেল রানা রাজি না হওয়ায় তারা বাড়ি ফিরে যায়। পরে ওই দিন রাতেই পুনরায় মনোহরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালামের কাছে গিয়ে ঘটনা খুলে বললে তিনি, শুক্রবার সকালে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন।

ওসি তদন্তের কথা অনুযায়ী শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিল্লাল হোসেন, কাউসার মিয়া, সবুজ মিয়া, প্রতিবেশী মোস্তফা হোসেনকেসহ সকল কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে ওসি তদন্ত কাগজপত্র যাচাই করে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। এ সময় থানার অপারেটর জিয়াউর রহমানের কাছে গিয়ে অভিযোগ লেখার সময় এসআই সোহেল রানা থানায় প্রবেশ করে কৃষকদের অভিযোগ লেখাতে দেখে উত্তেজিত হয়ে যান। ওসি তদন্তের কাছে অভিযোগ দায়ের করার কথা শুনে তিনি আরও ক্ষেপে গিয়ে বিল্লাল হোসেনকে চর-থাপ্পড় মারতে থাকেন।

এ সময় বিল্লালের আত্মীয় কাউসার মারতে নিষেধ করায় তাকেও একই কায়দায় মারতে থাকেন। তাদের সঙ্গে থাকা সবুজকেও মারতে আসেন এস আই মীর সোহেল রানা। এ সময় সবুজ দৌড়ে পালানোর সময় তাকে পেছন দিক থেকে ধাওয়া করেন এসআই সোহেল রানা। এ সময় তাদেরকে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর হুমকি দেন এস আই সোহেল রানা।

এসআই সোহেল রানার এমন লঙ্কাকাণ্ডে থানায় উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ সদস্যরাও হতবাক হয়ে যান। পরে বিচার প্রার্থীদের চিৎকার শুনে পাশের রুম থেকে ওসি তদন্ত আবুল কালাম দৌড়ে আসেন এবং সোহেল রানার কাছে ভুক্তভোগীদের মারার কারণ জানতে চাইলে সোহেল রানা কোনো উত্তর না দিয়েই থানা থেকে বের হয়ে যান।

এ বিষয়ে এসআই মীর সোহেল রানা মুঠোফোনে জানান, ভুক্তভোগীদের সাথে সামান্য একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে।

এ ঘটনায় পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম জানান,এসআই সোহেল রানা তাদের সাথে রাগারাগি করতে দেখে ধমক দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসি।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, বিষয়টি সকালে শুনেছি। এটি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

ওডি/এএসএল

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড