• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘৮০ হাজার টাকায় ভাড়া করা হয় খুনিদের’

  মেহেরপুর প্রতিনিধি

১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:২৮
সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলনকালে মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী (ছবি : দৈনিক অধিকার)

মেহেরপুর সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের রোকনুজ্জামান ও হাসানুজ্জামান নামে দুই চাচাতো ভাইকে হত্যা করতে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে খুনিদের ভাড়া করা হয়। বর্তমানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আটক থাকা আসামি আব্দুল হামিদ এই জোড়া খুনের নির্দেশ দাতা।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে মেহেরপুর সদরের দরবেশপুর গ্রামের পূর্বপাড়া সাকিনস্থ আজিজুল হকের ধানক্ষেত থেকে ইদ্রিস আলী বিশ্বাসের ছেলে রোকনুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে হাসানুজ্জামানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পর পুলিশের নিরলস পরিশ্রমের ভিত্তিতে গোপন সংবাদে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত ২টার দিকে জোড়া খুনে জড়িত আব্দুল হাকিম, আব্দুস সালাম, তারাচাদ ফকির ও দরবেশপুর গ্রামের মামলত মণ্ডল নামের চার আসামিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এদের মধ্যে আব্দুল হাকিম আদালতে স্বীকার করেন যে, তার আপন বড় ভাই আব্দুল হামিদ (যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি) এই জোড়া খুনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, হামিদের ছেলে মোক্তার হোসেন হত্যাসহ শোলমারী বিলের অংশীদারিত্ব হতে বাদ পড়া ও স্থানীয় নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দলের প্রতিশোধ স্বরূপ জেলখানা থেকে হামিদ রোকন ও হাসানকে হত্যার জন্য তাকে নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে হাকিমের নির্দেশনা মোতাবেক ঘটনার পূর্বে তার আপন ভাগ্নে ইসমাইল হোসেন বাক্কাকে নগদ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে খুনিদের ভাড়া করে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়।

তদন্তের পর এই হত্যা মিশনে জড়িত সন্দেহভাজন আসামি আবুল কালাম কালুকে গত ৮ অক্টোবর বারাদি বাজার থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এরপর তার স্বীকারোক্তিতে গত ১২ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে গাংনী থানার হাটবোয়ালীয়া রোড থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রনি আলীকে গ্রেফতার করা হয় এবং পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয়।

তার দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী, ঘটনার দিন ইসমাইলসহ অপর একজন আসামি রোকনুজ্জামানকে কোপাতে থাকে। এ সময় অন্য আসামিরা হাসানুজ্জামানের পা চেপে ধরে। রোকন ও হাসানকে হত্যার সময় আসামি রনি সেখানেই উপস্থিত ছিল।

এই স্বীকারোক্তির পর গত ১৪ অক্টোবর মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ থেকে ফরিদ নামের আরও একজন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে ইসমাইল হোসেন বাক্কা গত ৪ অক্টোবর অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা বিচারাধীন ছিল।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী।

ওডি/আইএইচএন

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড