অধিকার ডেস্ক
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি ১৯ ছাত্রকে বুয়েট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ের আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাস থেকে আর কোনো পিতা-মাতার সন্তান হারানোর কষ্ট যেন বইতে না হয় তার স্থায়ী সমাধান চাই।
আবরারের বাবা বলেন, ছোট ছেলে ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে ঢাকায় যেতে ভয় পাচ্ছে। সে ঢাকায় পড়তে যেতে চাচ্ছে না। আবরারের মা রোকেয়া বেগম বলেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। এক ছেলেকে হারিয়েছি আর কোনো ছেলেকে হারাতে চাই না। আমি ছোট ছেলের নিরাপত্তা চাই।
অভিযুক্ত ১৯ জনকে যেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হয় তার দাবি জানিয়েছেন আবরারের বাবা।
তিনি বলেন, আবরার হত্যার মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে দিয়ে দ্রুত শেষ করতে হবে এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। চরম নিরাপত্তাহীনতায় থাকা পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে ১৯ জনকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।
বুয়েট শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় এ ঘোষণা আসে। আলোচনার শুরুতে আবরারের রুহের মাগফিরাত কামনায় ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় ১৫তম, ১৬তম, ১৭তম ও ১৮তম ব্যাচের বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বুয়েট শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
ভিসি বলেন, ১৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। চাইলেও এখনই স্থায়ী বহিষ্কার করা যায় না। পরে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।
এর আগে আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় বুয়েট শাখার সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে গত রবিবার রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে মেধাবী ছাত্র আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। এরই মধ্যে পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছেন। ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওডি/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড