নাটোর প্রতিনিধি
ফারাক্কা বাঁধের সবকয়টি লক গেট খুলে দেওয়ার কারণে প্রভাব পড়েছে নাটোরের লালপুরের পদ্মা নদীতে। গেট খুলে দেওয়ার কারণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
ফারাক্কা বাঁধের সবকয়টি লক গেট খুলে দেওয়ায় নাটোরের লালপুরের পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বন্যার আশঙ্কা থাকায় ৩টি ইউনিয়নের ১৮টি চরে বসবাসকারী সবাইকে সরিয়ে নিতে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।
জানা যায়, ফারাক্কা বাঁধের সবকয়টি লক গেট খুলে দেওয়ার কারণে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকেই লালপুরের পদ্মা নদীতে পানি বাড়তে থাকে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ৩টি ইউনিয়নের ১৮টি চরের সমস্ত ফসল তলিয়ে গেছে। পানি ঢুকে পড়েছে বসতবাড়িতে। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত স্থানীয় কৃষি বিভাগ ২২ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি নষ্ট হওয়ার তথ্য সংগ্রহ করেছে।
তবে নর্থ বেঙ্গল চিনিকল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ৮ নভেম্বর সুগার মিলটি চিনি উৎপাদনে যাবে। এই মিলের বেশির ভাগ আখের চাহিদা মেটানো হয় পদ্মার চর থেকে। কিন্তু মিল শুরুর আগ মুহূর্তে চরে থাকা ৪২ একর জমির আখ তলিয়ে গেছে। এতে করে চিনি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানিন দ্যুতি জানান, ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিলমারিয়া, লালপুর এবং ঈশ্বরদী এই তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তরের কাছে ত্রাণ চেয়ে চিঠি দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ১৮ চরে বসবাসকারী মানুষরা অন্যত্র সরে গেছে। কেউ কেউ চরের মধ্যেই অবস্থান করছে। আমরা তিনটি ইউনিয়নে আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছি, সেখানে তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
নাটোর উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান বলেন, লালপুরের পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগামী ৩ অক্টোবর পিবদসীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড