ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের নান্দাইলে পৃথকস্থানে একদিনে দুই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হলে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নান্দাইল উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামে স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে এক যুবক এবং একইদিনে জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বরিল্যা গ্রামে অপর এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ দুই ভুক্তভোগীকে আলাদাভাবে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ওই ছাত্রী (১৪) লেখাপড়া করে। পার্শ্ববর্তী চৈতনখালী গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে সোহরাব উদ্দিন (২৪) মঙ্গলবার দুপুরের দিকে চরশ্রীরামপুর গ্রামে নানার বাড়িতে স্কুলছাত্রীকে একা পেয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই স্কুল ছাত্রীর মা হালিমা আক্তার বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় এ ব্যাপারে একটি মামরা দায়ের করে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত সোহরাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে বুধবার ময়মনসিংহ জেল-হাজতে প্রেরণ করে।
অপরদিকে নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বরিল্যা গ্রামের এক কিশোরীকে (১৫) একই গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে হীরা মিয়া (২৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক করায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ফের মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মেয়েটিকে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করে চলে আসার সময় ওই কিশোরী কান্নাকাটি শুরু করলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।
পরে ওই কিশোরীর ভাই রুহুল আমিন বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযুক্ত হীরা মিয়াকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত হীরা মিয়া পলাতক রয়েছে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহম্মেদ জানান, এ দুটি ধর্ষণের ঘটনায় পৃথকভাবে নিয়মিত মামলা হয়েছে। কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড