বরগুনা প্রতিনিধি
‘আমার নির্দোষ মেয়েটি ৪৮ দিন পর অতি কষ্টে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। রাতে ঘুমের ঘোরে সে ভয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে। মানসিক ও শারীরিকভাবে সে অসুস্থ, তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে রাখা হয়েছে। তার দুই হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যথা, কথাগুলো বললেন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।’
হাইকোর্ট থেকে জামিনাদেশ পাওয়ার পর বরগুনা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি বনে যাওয়া তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় মুক্তির পর কারা ফটকে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সরাসরি শহরের মইঠা এলাকায় বাবার বাসায় নেয়া হয়।
তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আমি আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আমার নির্দোষ মেয়েটি এক মাস ১৮ দিন অতি কষ্টে জেলে ছিল। আমার মেয়ে ছিল সাক্ষী, একটি প্রভাবশালী মহলের কারণে আমার মেয়েকে আসামি করা হয়েছে। মিন্নি তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই দিন সন্ত্রাসীদের সামনে পড়েছে। অথচ আমার মেয়েকে আসামি করে দীর্ঘদিন জেলে আটকে রাখা হলো। আমি এখনো সাদা পোশাকধারী পুলিশ আতঙ্কে আছি। সার্বক্ষণিক ছায়ার মতো আমি ও আমার পরিবারের পেছনে তারা লেগে আছে। আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি এ মামলা পুনঃতদন্ত করে মূল রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।
এক প্রশ্নের জবাবে কিশোর বলেন, মিন্নিকে উন্নত চিকিৎসার দেওয়ার পরে সে সুস্থ হলে আবারও তার পড়াশুনা শুরু করানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকে। পরে মিন্নির শ্বশুর তার ছেলেকে হত্যায় পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করলে ঘটনা নতুন দিকে মোড় নেয়।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড