• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সেবা প্রদানকারী নিজেই যখন রোগী

  এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী

০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:০০
ফেনী
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (ছবি : দৈনিক অধিকার)

ফেনীর উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীর সাড়ে তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ভরসা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক-কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংকটে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি যেন নিজেই এখন রোগী।

ফলে উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বাসিন্দারা কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ।ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চিকিৎসকের মোট ২১টি পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন মাত্র তিনজন চিকিৎসক। অফিস সহকারীর পাঁচটি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র দুইজন।

চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পাঁচটি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র একজন। সুইপারদের পাঁচটি পদের মধ্যে চারটি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। টেকনিশিয়ান থাকলেও দীর্ঘদিন এক্সরে মেশিনটি বিকল পড়ে রয়েছে। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় জেনারেটরটি নষ্ট অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এছাড়া আসবাবপত্র ও বিভিন্ন বিভাগে যন্ত্রপাতির সংকট তো আছেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে আরও জানান, বর্তমানে হাসপাতালে যে তিনজন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন তাদের মধ্যে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। তাকেও দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি রোগী দেখতে হয়। দুইজন মেডিকেল অফিসার (চিকিৎসক) দিয়ে চরম সংকটে চলছে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি কাগজে কলমে ৫০ শয্যার করা হলেও পূর্বের ৩১ শয্যার জনবলও নেই হাসপাতালটিতে। প্রতিদিন গড়ে ৭০-৭৫ জন রোগী ভর্তি থাকেন।

বর্হিবিভাগে দূর-দূরান্ত থেকে গড়ে ৪শ থেকে সাড়ে ৪শ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় ও বিভাগীয় চিকিৎসক না থাকায় অনেক রোগীকে সেবা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যেতে হয়। অথবা জেলা শহরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়।

উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বড়ধলী গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা জামাল উদ্দিন নামে একজন রোগী জানান, তিনি দাঁতের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে দাঁতের চিকিৎসক না থাকায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।

সূজাপুর গ্রামের হাড় ভাঙা রোগী পেয়ারা বেগম চিকিৎসা সেবার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে জানতে পারেন, হাসপাতালের এক্সরে মেশিনটি নষ্ট। সোনাগাজী উপজেলা সদরে ভালো কোনো এক্সরে মেশিন না থাকায় বাধ্য হয়ে তাকে জেলা শহরের বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয়।

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুরুল আলম চিকিৎসক-কর্মচারী ও যন্ত্রপাতি সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে একাধিকবার চিঠি দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ওডি/এমবি

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড